আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নিহত হয়েছেন ১২০ জন, আহত হয়েছেন আরও কয়েকশ বাসিন্দা। প্রবল বৃষ্টিতে নদীর পানি বেড়ে গিয়ে এই দুর্যোগের সৃষ্টি হয়।
আল-জাজিরা জানায়, রাজধানী ও তার আশপাশের অঞ্চলগুলো কর্দমাক্ত পানিতে ডুবে গেছে; ভূমিধসের কারণে রাস্তা-ঘাটের কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট নেই। তাছাড়া দেশটির মূল সমুদ্র বন্দরের সাথে রাজধানীর সংযোগ সড়কটিও আর ব্যবহার উপযোগী নেই।
দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, বন্দরগামী রাস্তাটি আপাতত চারদিন বন্ধ থাকবে। মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানায় তারা।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যা ও ভূমিধসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। এতে মানুষ মারা গেছে, ঘর-বাড়ি ডুবে গেছে, চলাচলের রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে।

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দুর্যোগের ভয়াবহতা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। কর্দমাক্ত পানিতে ভেসে গেছে পুরো এলাকাটি। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এমন ভয়াবহ বন্যা আমরা আর কখনোই এখানে দেখিনি। আমার বাড়িতে যখন পানি ঢুকে, তখন আমি ঘুমাচ্ছিলাম। দ্রুত পানি বাড়তে শুরু করে। আমরা কিছুই নিয়ে আসতে পারিনি।”
কঙ্গো নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা কিনশাসা এখন আফ্রিকার অন্যতম মেগাসিটিগুলোর একটি। একসময় এই অঞ্চলটি জেলে পল্লী ছিল। তবে দ্রুত উন্নয়নের ফলে নজর দেওয়া হয়নি অনেক নীতিগত বিষয়ের ওপর। ফলে আকস্মিক বন্যা আর প্রবল বৃষ্টিপাতে ঝুঁকিপূর্ণ রূপ নেয় শহরটি। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।






































