যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডুর (১৮) মৃত্যুতে আরও দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মনোতোষ ঘোষ (২০) ও দীপশেখর দত্ত (১৯)। তারা দুইজনেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সৌরভ এই দুইজনের নাম বলেছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
পুলিশ জানায়, বাঁকুড়ার বাসিন্দা দীপশেখর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং হুগলির আরামবাগের বাসিন্দা মনোতোষ সমাজবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। হোস্টেলের ১০৪ নম্বর রুমে থাকেন মনোতোষ। স্বপ্নদীপ হোস্টেলে মনোতোষের অতিথি হিসেবে থেকেছিলেন।
স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুন্ডুর অভিযোগে মনোতোষের নাম থাকলেও, এফআইআরে তার নাম ছিল না।
গ্রেপ্তার দুই ছাত্রকে আদালতে তোলা হলে আদালত ২২ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে পুলিশ জানায়, স্বপ্নদীপ র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে আলামত মিলেছে। যৌন হয়রানির বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
সৌরভ চৌধুরীকে শনিবার (১২ আগস্ট) আলিপুর আদালত ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের অনুমতি দেয়।
আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, স্বপ্নদীপের ওপর অত্যাচার হয়েছিল বলে শোনা যাচ্ছে। তাতে অনেকে জড়িত ছিলেন। তার কথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে ‘র্যাগিং তত্ত্ব’ আরও জোরালো হয়। যদিও সৌরভ দাবি করেন তিনি নির্দোষ। তার পরিবারও দাবি করছে, সৌরভকে ফাঁসানো হয়েছে।
গত বুধবার রাতে হোস্টেলের বারান্দা স্বপ্নদীপ পড়ে যান। পরে হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলে স্বপ্নদীপের পরিবার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুন্ডু ছেলের মৃত্যুর জন্য হোস্টেলের কয়েকজন সদস্যকে দায়ী করে অভিযোগ দায়ের করেন।