পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৭ জন। এ ছাড়া ধসে পড়েছে ১৪টি বাড়ি।
শনিবার (১৩ জুলাই) প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানায়, নিহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু, তিন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছে। নারোয়াল ও মুলতান জেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
ডনের জানিয়েছে, ৩০ জুন থেকে পাঞ্জাবজুড়ে মৌসুমি বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৬৪ জন এবং ৩৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পিডিএমএ সতর্কতা জারি করে বলেছে, ১৫ জুলাই পর্যন্ত পাঞ্জাবজুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
শনি থেকে রোববারের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় লাহোর, সারগোধা, টোবা টেক সিং, ফয়সালাবাদ, কোট আড্ডু এবং বাহাওয়ালপুরে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে।
প্রবল বর্ষণে পাঞ্জাবের নদী, ব্যারেজ ও বাঁধের পানি বৃদ্ধি পেলেও পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রয়েছে। পিডিএমএর মহাপরিচালক ইরফান আলী কাঠিয়া বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোতে বন্যার ঝুঁকি বিবেচনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পাঞ্জাবের ত্রাণ কমিশনার নাবিল জাভেদ বন্যার পূর্বাভাস পেয়ে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে ডন।