• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২,
  • ৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

পশ্চিমবঙ্গের মণ্ডপে ট্রাম্প, ইউনূস ও শাহবাজের মুখের আদলে অসুর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম
পশ্চিমবঙ্গের মণ্ডপে ট্রাম্প, ইউনূস ও শাহবাজের মুখের আদলে অসুর
মুর্শিদাবাদের একটি মণ্ডপের প্রতিমা। ছবি: এক্স

পুরাণ অনুযায়ী, অসুরদের অত্যাচারে পরাজিত হয়ে দেবতারা স্বর্গলোক ছেড়ে পালিয়েছিলেন। এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে দেবতারা একত্র হন এবং তাঁদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হন দেবী দুর্গা। দেবী ৯ দিন ধরে যুদ্ধ করে মহিষাসুরকে বধ করে ত্রিলোক রক্ষা করেন। হিন্দুরা বিশ্বাস করে, যুগে যুগে অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে এভাবেই প্রতিবছর পৃথিবীতে আসেন দেবী।

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের একটি মণ্ডপের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। কারণ, সেখানে মহিষাসুর রূপে বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখ ব্যবহার করা হয়েছে।

ছবি: এক্স

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য উইকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের সাধক নরেন্দ্র স্মৃতি সংঘ তাদের এই বছরের থিম ‘দহন’-এর অংশ হিসেবে এটি তৈরি করেছে। তাদের পূজামণ্ডপে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে মহিষাসুর হিসেবে দেখানো হয়েছে। আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে এমনভাবে দেখানো হয়েছে, যেন দেবী দুর্গা তাঁর ছিন্ন মস্তক ধরে আছেন।

ছবি: এক্স

অবশ্য মহিষাসুরকে এভাবে পরিবর্তন করার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। কিছুদিন আগে কলকাতার খাগড়া শ্মশানঘাট দুর্গাপূজা কমিটি মহিষাসুরের বদলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখের একটি প্রতিমা তৈরি করেছিল। কমিটির ভাষ্যমতে, রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনার জন্য ভারতের ওপর ওয়াশিংটনের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং এইচ-১বি ভিসার ফি এক লাখ ডলার পর্যন্ত বাড়িয়ে ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন। তাই তাঁকে এই রূপে তুলে ধরা হয়েছে।

ছবি: এক্স

হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, মহিষাসুর একজন ধূর্ত ও শক্তিশালী অসুর। সে অর্ধপুরুষ এবং অর্ধমহিষ। ব্রহ্মা তাঁকে এই বর দিয়েছিলেন, কোনো পুরুষ বা দেবতা তাঁকে বধ করতে পারবেন না। এই বর পেয়ে মহিষাসুর ত্রিলোকের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেন। তাঁর অত্যাচারে দেবতারাও অসহায় হয়ে পড়েন। তাঁর অত্যাচার যখন অসহনীয় হয়ে ওঠে, তখন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের সম্মিলিত শক্তিতে দেবী দুর্গার সৃষ্টি হয়। দেবী দুর্গা ৯ দিন ধরে যুদ্ধ করে মহিষাসুরকে বধ করেন। দুর্গাপূজার মাধ্যমে হিন্দুরা মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর জয়কে উদ্‌যাপন করে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নেটিজেনরা বলছেন, দুর্গাপূজায় রাজনীতি ঢোকানো ঠিক নয়। এ ধরনের সংস্কৃতি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং পারস্পরিক সহনশীলতা কমিয়ে দিতে পারে।

Link copied!