ভারতের বেশ কয়েকটি এলাকায় বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। তবে এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ। তারা বলেছে, “আমরা যদি হামলা করি, সেটা ঘোষণা দিয়েই করব—এখনো সময় আসেনি। যখন করব, গোটা বিশ্ব দেখবে। এতদিন হামলার হুমকি দিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত পাল্টা কোনো হামলা চালায়নি পাকিস্তান।”
এর আগে গত ৬ মে রাতভর পাকিস্তানের নয়টি স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ভারত। এতে নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক মানুষ নিহত হয় বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। ভারতের ব্যাখ্যা, তারা ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ইসলামাবাদের পাল্টা দাবি করেছে, ভারত শুধু মসজিদ টার্গট করে হামলা করেছে।
ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, প্রত্যেকটি রক্তবিন্দুর বদলা নেওয়া হবে।
দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারও জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ভারতবিরোধী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এবারকার হামলা ২০১৯ সালের বালাকোট অভিযানের চেয়েও বড়। ওয়াশিংটনভিত্তিক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যানের আশঙ্কা, পাকিস্তান থেকে এবারও বড়সড় প্রতিক্রিয়া আসতে পারে।
তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাহিদ হোসাইনের মতে, পাকিস্তান সীমিত প্রতিক্রিয়ার পথেই হাঁটবে। ভারতশাসিত কাশ্মীরের বাইরে তারা হামলা করবে না।কারণ সরাসরি যুদ্ধের পথে হাঁটতে চায় না ইসলামাবাদ।




































