মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় কোয়েরেটারো এলাকায় একটি পানশালায় হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা।
স্থানীয় সময় শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতের এই হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
কোয়েরেটারো শহরের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান হুয়ান লুইস ফেরাসকা বলেছেন, ‘ওই পানশালায় চার বন্দুকধারী আকস্মিক হামলা চালায়। তাদের এলোপাতারি গুলিতে তিন নারীসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্তত সাত জন আহত হয়েছেন।’
এরই মধ্যে হামলায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত তদন্ত কর্মকর্তারা একটি গাড়ির বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। হামলার সঙ্গে ওই গাড়ির যোগসূত্র থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কোয়েরটারো তুলনামূলক কম অপরাধপ্রবণ এলাকা। এখানে বড় ধরনের অপরাধের সংখ্যা দেশটির অনেক স্থানের তুলনায় কম। ফলে মেক্সিকোর অনেক স্থানের চেয়ে জায়গাটি তুলনামূলক নিরাপদ বলে বিবেচিত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে কোয়েরটারোর গভর্নর মাউরিচিও কুরি বলেন, “এই নৃশংসতায় জড়িত প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনা হবে। আমাদের সীমান্ত প্রহরা চালিয়ে যাব। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেব।”
সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র ও মাদক কারবারি চক্রের সংঘাতের কারণে মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মারাত্মক আকার নিয়েছে। পরিস্থিতি শামাল দেওয়া নতুন প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবমের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ১ অক্টোবর শপথ নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে দুই হাজার ৭৮৮টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট শেইনবম সহিংস অপরাধ দমন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে তিনি বিশদ একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। শেইনবমের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত যুবকদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান উন্নত করা ও ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীকে শক্তিশালী করা।



































