চরম রাজনৈতিক ও অর্থ সংকটে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (৯ মে) দুপুরে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এল, যখন বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রটির রাজধানীতে সরকারি পক্ষ ও সরকার বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে জানান, তার ভাইকে প্রধামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে জানানো হয়েছে। যাতে করে দেশের চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পর মন্ত্রিসভার সদস্যরা পদত্যাগ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
গত ১১ এপ্রিল প্রথমবারের মতো নিজ দেশে চলমান দুর্দশার কথা স্বীকার করেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। মহামারি থেকে নিজ দেশকে রক্ষা করতে পারলেও রাজনৈতিক ও অর্থসংকটের কবলে পড়ে শ্রীলঙ্কা অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
দক্ষিণ এশিয়ার ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটি ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির জন্যও প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রারও ঘাটতি রয়েছে।
দেশটি বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে। বিক্ষোভ দমনে কয়েক দফা কারফিউ ও জরুরি অবস্থা জারি করে সরকার। যদিও এসব নিষেধাজ্ঞা ধাপে ধাপে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সাল থেকে রাজাপাকসে ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশটির প্রশাসনে রয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ।