আগস্টে কাবুলে আইএস সদস্য ভেবে ড্রোন হামলায় এক বেসামরিক নাগরিক ও তার পরিবারকে হত্যা করে মার্কিন সেনারা। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে এলে ক্ষমাও চায় যুক্তরাষ্ট্র।
তবে এ ঘটনার তদন্তের মার্কিন সেনাদের কোনো অসদাচরণ বা আপরাধ পায়নি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর, পেন্টাগন। ঐ হামলায় সাত শিশুসহ ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হলেও পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনায় বলা হয়, এতে যুদ্ধ আইনেরও লঙ্ঘন হয়নি।
পেন্টাগনে মার্কিন বিমানবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সামি সাইদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিযান পরিচালনা’ আর ‘যোগাযোগের ত্রুটি’ এই ভুল হামলার মূল কারণ। তবে এটা যুদ্ধ আইন লঙ্ঘন নয়। দায়িত্বে অবহেলার কারণেও হয়নি।”
৩০ আগস্ট আফগানিস্তানের স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-কে সদস্য ভেবে ড্রোন হামলায় এজমারাই আহমাদিরকে হত্যা করে মার্কিন সেনারা। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে নিহতের পরিবার।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হামলায় নিহত এজমারাই আহমাদির ভাতিজা ফারশাদ হায়দারি (২২) হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন। মার্কিন কর্মকর্তাদের আফগানিস্তানে এসে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন ফারশাদ।
এছাড়াও হামলায় নিহতদের পরিবারের দাবি, নিহতরা কেউ সন্ত্রাসী ছিল না, তা যুক্তরাষ্ট্রও স্বীকার করেছে। তাই হামলার জড়িতদের আটক করে শাস্তির দাবি করেন তারা।
এরপর হামলার দায় স্বীকার করার পর ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি নিহতের পরিবারের অন্য সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দেয় মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর।