যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ লন্ডনে খুন হয়েছেন সাবিনা নেসা নামের ২৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি কিশোরী। লুইশামের এই স্কুল শিক্ষিকার হত্যাকাণ্ডে রাজধানীতে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে বেড়েছে উদ্বেগ।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সাবিনা তার বাসার কাছে দ্য ডেপট পানশালায় এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ তার মৃত্যুর খবর জানায়।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার কিছু আগে গ্রিনউইচের বাড়ি থেকে বের হন নেসা। ক্যাটর পার্কের মধ্য দিয়ে পেগলার স্কয়ারের দিকে হেঁটে যাওয়ার পথে তার উপর হামলা হয়। পরদিন বিকেলে সেখানকার একটি কমিউনিটি সেন্টারের কাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লন্ডনের গোয়েন্দা প্রধান ইন্সপেক্টর জো গ্যারিটি বলেন, “আর মাত্র পাঁচ মিনিট সময় পেলেই সাবিনার তার গন্তব্য অব্দি পৌঁছে যেত। কিন্তু তিনি আর কখনোই আমাদের মাঝে ফিরবেন না। আমরা জানি যে এই হত্যাকাণ্ডে এলাকাবাসী শোকাহত। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে হত্যাকারীকে খুঁজে বের করব।”
সিএনএন জানায়, হামলার কোন প্রত্যক্ষদর্শী থাকলে তাকে দ্রুত যোগাযোগ করার জন্যেও আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের চাচাতো ভাই জুবেল আহমেদ স্থানীয় আইটিভি নিউজকে জানান, “নেসা দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের লুইশামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা ছিলেন। তার মৃত্যুশোকে গোটা পরিবার হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে।”
মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে লন্ডনের সড়কে হত্যার শিকার হলেন দুই নারী। ৩ মে দক্ষিণ লন্ডনের ক্ল্যাফামে বন্ধুর বাসা থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হন ৩৩ বছর বয়সী সারাহ এভারার্ড। পরে তাকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার দায়ে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সারা এভারার্ডের হত্যাকাণ্ডের পর লন্ডনে নারীদের যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির চিত্র উঠে আসে সামাজিক মাধ্যমের অজস্র পোস্টে। ধারণা করা হচ্ছে সাবিনা নেসার মৃত্যুর শোক আবারও নারীর নিরাপত্তার দাবিতে বড় ধরনের সামাজিক আন্দোলনে রূপ নিতে যাচ্ছে।