প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ করেছে রাশিয়া। মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ এই অভিযোগ করেন।
তিনি জানান, ইউক্রেন বাহিনীর ব্যবহৃত মার্কিন হিমার্স আর্টিলারির হামলাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদনের ভিত্তিতে চালানো হয়েছে। কোনাশেনকভ আরও বলেন, ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের ফোনকল থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এর আগে রাশিয়া ইউক্রেনের পক্ষে ওয়াশিংটন ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ করছে বলেও অভিযোগ করে।
এদিকে পেন্টাগনের এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, ইউক্রেনীয়দের হামলার হুমকি ও রাশিয়ার আগ্রাসনের থেকে রক্ষা করতেই সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
হিমার্স রকেট সিস্টেমের মাধ্যমে ৭০ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল হামলা চালানো যায়। ইউক্রেনের আগের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাগুলোর চাইতে এটি অনেক বেশি কার্যক্ষম।
ইউক্রেনের সহকারী সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান ভাদিম স্কিবিৎস্কি ব্রিটিশ সংবাদপত্র টেলিগ্রাফকে জানান, উপগ্রহ চিত্র ও নির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে কিয়েভে হিমার্স রকেট হামলার চালানো হয়। প্রতিটি হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এ নিয়ে আলোচনা করেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা লক্ষ্যবস্তু-সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করেননি।
গোয়েন্দা বাহিনীর সহকারী প্রধানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এই অভিযোগ করেছে রাশিয়া। মস্কোর মুখপাত্র কোনাশেনকভ বলেন, “কিয়েভের সমস্ত রকেট হামলার জন্য বাইডেন প্রশাসন সরাসরি দায়ী। এর ফলে দনবাস ও অন্যান্য অঞ্চলের জনবসতিতে বেসামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বেসামরিক মানুষের ব্যাপক মৃত্যু ঘটেছে।”