সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ভাইরাসই স্বভাবতই রূপ পাল্টায়। সার্স-কোভিড-২ এ ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। দুই বছর ধরেই স্থবির অবস্থায় রয়েছে পুরো বিশ্ব। সামাজিক কার্যকলাপ থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক চাকা—সবকিছুই চলছে ধীরগতিতে। কারণ করোনাভাইরাসের মহামারি থেকে এখনো শঙ্কামুক্ত হতে পারেনি বিশ্ব। সবকিছু স্বাভাবিক গতিতে চলতে থাকার মাঝেই আবারও হানা দেয় একের পর এক করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট।
প্রথম করোনাভাইরাসের সাধারণ রূপই বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। এর মধ্যেই ভাইরাসটি রূপ পাল্টে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের বেশে সামনে আসছে। এর হাজার হাজার মিউটেশন হয়েছে। ২০২১ সালেই এই ভাইরাসের কয়েকটি রূপ দেখা গেছে। ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো একটি অন্যটির থেকে আলাদা এবং আরও বেশি ভয়ংকর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বেশির ভাগ মিউটেশনের ফলে ভাইরাসের মূল গঠনের ওপর খুব কম বা একেবারে কোনো প্রভাবই আসলে পড়ে না। সময়ের সঙ্গে এটি বিলুপ্তও হয়ে যায়। কিন্তু কোনো কোনো মিউটেশন এমনভাবে ঘটে, যা ভাইরাসটিকে টিকে থাকতে এবং বংশবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, সার্স-কোভিড-টু কতটা, কীভাবে বদলাচ্ছে, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভাইরাসটির নতুন নতুন ধরন নিয়ে আমাদের কতটা সতর্ক থাকা উচিত, তা নিয়েও পর্যবেক্ষণ চলছে।
এই বছর করোনাভাইরাসের কয়েকটি ভ্যারিয়েন্টের দেখা মিলেছে। প্রতিটি ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের রূপ ভিন্ন। লক্ষণ বা উপসর্গগুলোও ভিন্ন হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, করোনার মূলত কয়েকটি ধরন রয়েছেন। আলফা, বেটা, গামা ও ডেল্টা। আরও রয়েছে এপসিলন, যেটা, এটা, থেটা, লটা, কাপা, ল্যাম্বডা, মিউ। এরপরই বছরের শেষ দিকে ধরা পড়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’।
করোনার ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে ‘আলফা’ প্রথম ধরা পড়ে যুক্তরাজ্যে, ‘বেটা’ ধরা পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। অন্যদিকে ‘গামা’ প্রথম শনাক্ত হয় ব্রাজিলে এবং ভারতের ধরা পড়ে নতুন ধরন ‘ডেল্টা’। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ‘এপসিলন’, ব্রাজিলে ‘যেটা’, ফিলিপাইনে ‘থেটা’, যুক্তরাষ্ট্রে ‘লটা’, ভারতে ‘কাপা’ এবং পেরুতে ‘ল্যাম্বডা’ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এরপরই বিশ্বকে নতুন আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছে করোনার সর্বশেষ শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন, যা দক্ষিণ আফ্রিকায় ধরা পড়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব ভ্যারিয়েন্টকেই ‘উদ্বেগজনক’ বলে চিহ্নিত করেছে। কারণ এগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি হুমকিস্বরূপ। নতুন ভ্যারিয়েন্ট পুরোনো থেকে আরও বেশি সংক্রামক হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পাশাপাশি টিকার কার্যকারিতা নিয়ে উঠে প্রশ্ন।
যেসব দেশে করোনার এসব ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ে, সেই সব দেশের সঙ্গে এসব ভাইরাসের সম্পর্ক রয়েছে—এটা নিতান্তই ভ্রান্ত ধারণা বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এজন্য গ্রিক বর্ণমালা দিয়ে এগুলোর নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
এই বছরের সালতামামিতে করোনাভাইরাসে নতুন যেসব ভ্যারিয়েন্টের দেখা মিলেছে, সেসবের ওপর আলোকপাত করতেই থাকছে এই আয়োজন।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট
করোনার ডেল্টা ধরনটি প্রথম ভারতে ধরা পড়ে। এখন যুক্তরাজ্যে ৯০ শতাংশই ডেল্টা ধরনে শনাক্ত হয়েছেন। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সাধারণ উপসর্গ মাথাব্যথা, গলাব্যথা আর নাক দিয়ে সর্দি পড়া। করোনার উপসর্গবিষয়ক গবেষক অধ্যাপক টিম স্পেক্টর বলছেন, করোনার ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত তরুণরা এটাকে ‘বড় ধরনের ঠান্ডা–সর্দি’ বলে মনে করেন এবং তারা অন্যদের সংক্রমিত করতে পারে। এই বছর মে মাস থেকে বিশেষজ্ঞরা গবেষণা শুরু করেন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে। সেখানে দেখা গেছে, করোনার আগের উপসর্গ থেকে ডেল্টার উপসর্গ একদমই ভিন্ন। মৌসুমি ঠান্ডার মতো কিছুতে আক্রান্ত হয়েছেন মানুষ। তবে কিছু ক্ষেত্রে ঘ্রাণ হারানোর বিষয়টিও একই রকম, আবার কিছু ক্ষেত্রে ঘ্রাণ বা স্বাদে কোনো পরিবর্তন হয় না। যুক্তরাজ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের মধ্যে মাথাব্যথা, গলাব্যথা এবং সর্দি দেখা গেছে। এ ছাড়া ডেল্টা ধরনটি তরুণদের মধ্যে মৃদু উপসর্গে দেখা যায়। সাধারণ ঠান্ডা থাকতে পারে। কিন্তু তা ভেতরে মারাত্মক আকার ধারণ করে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, হেলাফেলা না করে জ্বর বা ঠান্ডা লাগলেই পরীক্ষা করতে হবে এবং বাড়িতেই অবস্থান নিতে হবে।
আলফা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ডেল্টা ৬০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। আর আলফা ভ্যারিয়েন্ট আবার প্রথম ধরা পড়া করোনাভাইরাসের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই বিশ্বজুড়ে এই বছর এপ্রিল ও মে মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, আফ্রিকা, স্ক্যানডিনেভিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোতে ডেল্টা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাজ্যের গবেষকরা জানান, টিকা না নিলে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তরা মারাত্মক অসুস্থ হতে পারে।
ডেল্টা প্লাস
চলতি বছর এপ্রিল ও মে মাসে কোভিডের দ্বিতীয় ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই হানা দেয় ডেল্টা প্লাস। গত ২৩ জুন ডেল্টা প্লাস বলে আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হয় ভারতে। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড এই ধরনটিকে প্রথমে ডেল্টার মতোই বলে বর্ণনা করে। কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনে আরেকটি মিউটেশনের (কে৪১৭এন) ফলে এই নতুন ধরনটি আক্রান্ত কোষের সঙ্গে নিজেকে আটকে ফেলতে পারে। তাই এর নাম হয় ডেল্টা প্লাস। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, জাপান, পোল্যান্ড, নেপাল, রাশিয়া ও চীনে এই ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, ডেল্টা প্লাস ফুসফুসের কোষে অনেক সহজে সংযুক্ত হতে পারে।
ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট
করোনাভাইরাসের আরেকটি হচ্ছে ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট। বিজ্ঞানের পরিভাষায় নতুন এই রূপটির নাম ‘সি.৩৭’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, পেরু, আর্জেন্টিনা, চিলি ও কুয়েডরে সংক্রমণ মারাত্মক হারে বেড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এই ভ্যারিয়েন্টের দেখা মিলেছে। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা-বিষয়ক তথ্য শেয়ার করে, এমন একটি সংস্থা জানায়, ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের ২৯টি দেশে। এই ধরনটির উদ্বেগের মূল কারণ হলো, খুব অল্প সময়ের মধ্যে তার বাইরের স্তরে থাকা শুঁড়ের মতো দেখতে স্পাইক প্রোটিনের অনেকগুলো মিউটেশন ঘটিয়েছে। স্পাইক প্রোটিনের আকারগুলো বদলে ফেলেছে। এই স্পাইক প্রোটিনই ভাইরাসটিকে মানব দেহকোষে ঢুকতে সাহায্য করে। এর আকারগুলো দ্রুত বদলে নিয়ে মানব দেহকোষে ঢোকার নিত্যনতুন কৌশল বার করে ফেলছে এই রূপটি।
পেরুর কেয়্টোনো হেরেডিয়া ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজিস্ট পাবলো সুকায়ামা জানান, ল্যাম্বডা অনেক বেশি সংক্রামক হতে পারে, কারণ এটা যে এত দ্রুত ছড়ায়। এই ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গে পেটের পীড়া হতে পারে। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত টিকাগুলো নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় জানা যায়, ফাইজার বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার একটি ডোজ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৩ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। আলফা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এই টিকা সুরক্ষা দেবে ৫০ শতাংশ। দুটি ডোজই টিকাহীতাদের জন্য ফাইজারের টিকা ৮৮ শতাংশ এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ৬০ শতাংশ সুরক্ষা দেবে। এছাড়া ভারতের ডেল্টা এবং কাপা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রেজনেকার দুটি টিকাই কাজ করে।
মিউ ভ্যারিয়েন্ট
বিশ্বজুড়ে ডেল্টার দাপটের মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মিউ ভ্যারিয়েন্টের সতর্কতা জারি করে এই বছর। কলম্বিয়ায় পাওয়া যায় এই ধরন বি.১.৬২১ ভ্যারিয়েন্ট, যাকে গ্রিক বর্ণমালার ক্রমানুসারে বলা হচ্ছে মিউ। ধরনটি শরীরের অ্যান্টিবডির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ধ্বংস করে দিতে পারে বলে জানায় বিশেষজ্ঞরা। এই বছর জানুয়ারিতে কলম্বিয়ায় প্রথম এই ধরনটি শনাক্ত হয়। ডব্লিউএইচও জানায়, করোনার এ ধরনের গতিপ্রকৃতি বা মানবদেহে এর প্রভাব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই বছর ৩০ আগস্ট একে ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ভ্যারিয়েন্টটি দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এবং হংকংয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের দশমিক ১ শতাংশের কম মানুষ মিউ ধরনে আক্রান্ত হয়েছে। তবে কলম্বিয়ায় ৩৯ শতাংশ এবং ইকুয়েডরে ১৩ শতাংশ করোনা রোগী এখন মিউ ভ্যারিয়েন্টে শনাক্ত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি জানান, করোনার এই ধরনটি অ্যান্টিবডিকে পরাস্ত করতে সক্ষম হলেও প্রতিরোধের জন্য টিকাই উত্তম। জনস হপকিনস হেলথ সিকিউরিটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যামেশ এ আদালজা জানান, মিউ ভ্যারিয়েন্ট করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট
বছরের শেষ ভাগে এসে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনভাইরাসের আরও একটি ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ইতিমধ্যে ওমিক্রনকে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়েও ‘উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এই ভ্যারিয়েন্টে দ্রুত সংক্রমণ হয়। এই কারণেই একে ‘বিপজ্জনক’ বলে মনে করা হচ্ছে। ওমিক্রন করোনার বি.১.১.৫২৯ ভ্যারিয়েন্ট। এই বছর ২৪ নভেম্বর খোঁজ মিলে এই ভ্যারিয়েন্টের। প্রথম আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন দক্ষিণ আফ্রিকায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ৯ নভেম্বর সংগৃহীত একটি নমুনা থেকে মিলে বি.১.১.৫২৯। বর্তমানে এই ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার গণ্ডি পেরিয়ে বেলজিয়াম, হংকং, ইসরায়েল, ভারত, কয়েকটি দেশে পৌঁছে গেছে ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, করোনা অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ওমিক্রনের ‘রিইনফেকশনে’র ক্ষমতা বেশি। একবার করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির আবারও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
গবেষকরা আফ্রিকার বতসোয়ানা থেকে নেওয়া একটি নমুনায় বি.১.১.৫২৯ শনাক্ত করেছেন। তারা জানান, সেই নমুনায় থাকা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে স্পাইক প্রোটিনের ৩০টির বেশি পরিবর্তন (মিউটেশন) হয়েছে।
এদিকে ওমিক্রন প্রতিরোধে টিকার কার্যকারিতা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার বুস্টার ডোজ নিলে ওমিক্রনের ভয়াবহতা কমবে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওমিক্রন প্রতিরোধে ফাইজারের ট্যাবলেটও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বছরের শেষ দিকে এসে বিশ্বের একাধিক দেশ এখন আবারও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে।
ডেলমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট
বছর শেষে ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই নতুন ভ্যারিয়েন্টের কথা জানান দেয় বিশেষজ্ঞরা। নতুন এই ধরনের নাম ডেলমিক্রন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটিও বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা ইতোমধ্যে আমেরিকা এবং ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন এই প্রজাতি আরও কয়েক গুণ বেশি সংক্রামক হতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ডেল্টা এবং ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের মিলিত রূপই হচ্ছে ডেলমিক্রন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আলফা বা বিটার মতো আলাদা কোনো রূপ নয় নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট। কোভিডের দুই রূপ ডেল্টা ও ওমিক্রন একসঙ্গে ভয়াবহভাবে ছড়াচ্ছে। তাই যুগ্মভাবে এর নামকরণ করা হয়েছে ডেলমিক্রন।
ডেলমিক্রনের উপসর্গ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, তীব্র জ্বর, টানা কাশি, স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া বা কমে যাওয়া, মাথাব্যথা, সর্দি, গলা খুসখুস হওয়া প্রধান উপসর্গ হতে পারে।