ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। মাসখানেক ধরে তিনি সেখানে রয়েছে। আর এতেই গুঞ্জন চাউর হয়েছে, পাকাপাকিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হতে চলেছেন তিনি। গ্রিন কার্ডের জন্য নাকি আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন। যদিও শাকিব এমন খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, “আমার এখানে স্থায়ী বসবাসের কথা উঠছে কেন? আমি তো চাইলে আগামী মাসেই দেশে ফিরতে পারি। দেশান্তরী হওয়ার মতো কিছু তো ঘটে নাই। আমি এখানে কাজের মধ্যে আছি। যারা বড় আয়োজনে সিনেমা বানায় তারা বোঝে প্রি-প্রোডাকশনে কত মাস লাগে! আমেরিকার মতো দেশে আমি প্রথম সিনেমা করতে যাচ্ছি, সবকিছু গোছাতে গোছাতে তো আমার দিনরাত পার হয়ে যাচ্ছে।”
গ্রিন কার্ড বিষয়ে শাকিব বলেন, “আমেরিকার ‘গ্রিন কার্ড’ দেশটির সরকার সম্মান জানিয়ে বিভিন্ন দেশের সেলিব্রেটিদের দিয়ে থাকে। এই সম্মানটা সবাইকে দেয়া হয় না। যাদের দেয় তারা সম্মানিত হয়ে গ্রহণ করেন। আর কোভিডের আগে দেশে থাকতে অন্য প্রক্রিয়ায় আমার গ্রিন কার্ড ঠিক হয়ে ছিল। তার মানে তো এই না যে আমি আমার দেশ ছেড়ে দিচ্ছি। এখানে এসে শুধু গ্রহণের প্রক্রিয়া ছিল। এজন্য তো বছরের পর বছর থাকতে হয় না। বাংলাদেশের অনেক টপ মোস্ট সেলিব্রেটি আগে থেকে গ্রিন কার্ড পেয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বলিউডের বহু সেলেব্রেটিদের ‘গ্রিন কার্ড’ করা। এছাড়া দুবাই, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতে তাদের বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবই আছে। কিন্তু তারা ইন্ডিয়াতে বসবাস করে নিয়মিত কাজ করছেন। তাহলে আমার এটা নিয়ে কথা উঠছে কেন? কিছু মানুষ সবসময় অপব্যাখ্যা দিয়ে থাকে, বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।”
এদিকে আমেরিকা যাওয়ার আগে ‘গলুই’ নামে একটি সিনেমার কাজ শেষ করে গেছেন। দেশে ফিরতে দেরি হওয়ায় ছবির পরিচালক এস এ হক অলিক দেশটিতে গিয়ে ডাবিং করিয়েছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে নতুন দুই ছবির ঘোষণা দেন শাকিব খান।