সম্প্রতি প্রাক্তন স্বামীর নির্যাতনের তথ্যটি সামনে আনেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, স্বামীর কাছে নির্যাতনের শিকার হয়েই বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন। নির্যাতনে তার হাত পর্যন্ত ভেঙে গিয়েছিল বলে দাবি করেন এই অভিনেত্রী।
বিষয়টি প্রকাশের পর নেট দুনিয়ায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এরপর ফারিয়া পুনরায় এক ফেসবুক পোস্টে নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানান।
ফারিয়া লিখেছেন, “আমার মনে হয় বিষয়টা পরিষ্কার করা দরকার। কারো ভাবমূর্তি নষ্ট করার কিংবা অ্যাটেনশন পাওয়ার কোনো ইচ্ছে আমার ছিল না (যদিও আমি না চাইলেও বরাবরই অ্যাটেনশন পেয়ে যাই)। আগের পোস্টটি দেয়ার মূল কারণ হলো, আমাদের সমাজের দিকে আঙুল তোলা।”
ফারিয়া নিজেও ডিভোর্সের পক্ষে নন। কেউ তার কাছে এ ব্যাপারে পরামর্শ চাইলে, তিনি সময় নিয়ে ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। ফারিয়া বলেন, “বিয়ে একটি অসাধারণ ব্যাপার। সুতরাং আমরা বিচ্ছেদকে নিরুৎসাহিত করি। এমনকি আমার কোনো বন্ধু যদি ডিভোর্সের ব্যাপারে বলে, আমি তাদেরকে প্রথমেই বলি, ‘সময় নাও’। কেউ মারা গেলে সমাজের মানুষ কান্না করে। কিন্তু যখন কারো বিবাহবিচ্ছেদ হয়, পুরো ঘটনা জানার আগেই মানুষ ধরে নেয়, এটা নারীর ব্যর্থতা। তারা নারীর দোষ খুঁজতে চেষ্টা করে, তার চারিত্রিক সনদ অবধি দিয়ে দেয়, এবং আমরা সবাই হাসি!”
ভালোবেসে হারুনুর রশীদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাদের বিয়ে। কিন্তু ১ বছর ৯ মাস পর গত বছরের নভেম্বরে বিবাহবিচ্ছেদ করেন তারা।