ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। এই নায়িকা তার জন্মদিন প্রতিবছরই বেশ ঘটা করে উদযাপন করেন। এবারও হয়নি তার ব্যতিক্রম।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের মধ্যেই বেশ আড়ম্বর করেই সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর বসুন্ধরার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে পালন হয়েছে তার জন্মদিন। পুত্র রাজ্যকে কোলে নিয়ে এবারের জন্মদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে আসেন পরীমনি। এসেই তিনি শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিলেন। এই বার্তায় পরী বলেন, ‘মাতৃত্ব মানেই শুভ্রতা, মাতৃত্ব মানেই শান্তি।’
শান্তির এই বার্তার মাধ্যমে পরী হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন একজন নারীর জীবনে শ্রেষ্ঠ অর্জন হচ্ছে মাতৃত্ব। মা হয়ে পরী মনে করেন, তিনি বেশ সুখ ও শান্তিতে রয়েছেন। এ সময় পরীর সঙ্গে ছিলেন স্বামী অভিনেতা শরিফুল রাজ ও তার নানাভাই।
অনুষ্ঠানে পরী আরও বলেন, ‘‘ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাছের মানুষরা যে আমার জন্মদিনে এসেছেন, সে জন্য আমি হ্যাপি। হ্যাপি বার্থ ডে টু মি। এবারের জন্মদিনটা অন্যবারের চেয়ে সেরা জন্মদিন। কারণ আগের জন্মদিনগুলোতে আমার পাশে কেবল আমার নানুকে পেয়েছিলাম। এবার আমার জন্মদিনে রয়েছেন শরিফুল রাজ ও আমার সন্তান রাজ্য। ফলে এই জন্মদিনের অনুভূতিটা আমার কাছে অন্য রকম।’’
জন্মদিনের আয়োজনে বেশ কিছু চমক ছিল এবারও। এর অন্যতম হলো পরীর জীবনভিত্তিক ডকু ফিল্ম ‘নতুন জন্মের গল্প’ প্রদর্শন। রুদ্র হক নির্মিত এই ডকু ফিল্মটি পরী-রাজ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের সঙ্গে উপভোগ করেন। ডকু ফিল্মে পরীমনি নিজের বয়ানে তুলে ধরেন রাজের সঙ্গে তার প্রেমের গল্প। ডকু ফিল্মে দেখা যায়, লাজুক কণ্ঠে পরীমনি ব্যক্ত করেছেন রাজের সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর ইতিকথা। এভাবেই বলে গেছেন বিয়ে ও মা হওয়ার নন্দিত উপাখ্যান।
গল্পে জানান রাজের মায়ায় পড়ে রাজ্য পেয়ে যাওয়ার গল্প। রাজ, রাজ্য আর নানাভাই—পরীর জীবনে এখন তিন শ্রেষ্ঠ স্তম্ভ-এমনটাই ডকু ফিল্মে তুলে ধরেন পরী।
ডকু ফিল্মের এসব দৃশ্য পরম্পরা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন পরী-রাজ। আবেগে কেঁদে ফেলেন তারা। পরী-রাজ পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে সেই আবেগঘন মুহূর্তকে আরও আবেগতাড়িত করেন। এটি দুঃখের কান্না নয়। তারা সুখের কান্নায় ভাসালেন চোখ। এই কান্নার মুহূর্ত ছুঁয়েছে পরীর জন্ম উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথিদের হৃদয়ও।