মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকার থেকে ৮৩২ ভরি সোনার গয়না পাওয়া গেছে।
অগ্রণী ব্যাংকে থাকা ওই লকার দুটি জব্দ করা হয়েছিল। মাত্র একটি ব্যাংকের লকারেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের সেই খবর প্রকাশের পর দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
তবে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে হাসিনার ওই গহনার ছবিগুলোকে এআই জেনারেটেড দাবি করে পোস্ট করেছেন।
শাওন বুধবার এক পেস্টে লেখেন, ‘আমাদের ছোটবেলায় এআই ছিল না। কোন ধরনের নাচের গহনা কেমন হয়, তা জানার জন্য গুগল ছিল না। রেফারেন্স নেওয়ার জন্য পিন্টারেস্ট ছিল না। আমাদের মায়েরা নৃত্যগুরুর কাছ থেকে অভিজ্ঞতা ধার করে কিংবা ভিসিআরে হিন্দি সিনেমার অল্প কিছু উচ্চাঙ্গ ধরনের নাচ দেখে গাউছিয়া মার্কেট থেকে ভরত নাট্যমের গহনা কিনতেন।’
তিনি আরো লেখেন, ‘লোকনৃত্যের হাসুলি, বিছা, নোলক—এগুলোও সেখানে পাওয়া যেত। ভরত নাট্যমের কিছু গহনা যেমন : সিতাপাটি, সিঁথির দুপাশের চন্দ্র-সূর্য, বাজুবন্ধ ওই সব দোকানে পাওয়া যেত না বলে কেউ কেউ সেগুলো ভারত থেকে আনাতেন। আমার মা আমাকে জরির লেস আর সোনালি পুঁতি দিয়ে সেগুলো বানিয়ে দিতেন। এখন এআইয়ের কত ভার্সন আছে।
গুগল, পিন্টারেস্টসহ কত্ত কত্ত অ্যাপ; পুরো পৃথিবী হাতের মুঠোয়। আর এই সময়ে এসে আপনারা এ রকম চকবাজার মার্কা জিনিস প্রসব করলেন! অন্তত উনার পরা জামদানিগুলোর কথা ভেবে হলেও রুচিটা ঠিক রাখতেন।’
রাজধানীর দিলকুশায় অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় শেখ হাসিনার দুটি লকার ছিল। সম্পদের তথ্য গোপন করে কর ফাঁকির অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে এনবিআরের সিআইসি তা জব্দ করে।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর পূবালী ব্যাংকে থাকা শেখ হাসিনার আরেকটি লকার জব্দ করে এনবিআরের সিআইসি।
সেটি রাজধানীর সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখার ১২৮ নম্বর লকার। পূবালী ব্যাংকের একই শাখায় শেখ হাসিনার দুটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। এর মধ্যে একটি হিসাবে ১২ লাখ টাকার এফডিআর এবং আরেকটি হিসাবে ৪৪ লাখ টাকা পাওয়া যায়।
































