আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। গ্ল্যামারাস শুটিং ফ্লোর কিংবা এফডিসির আলোঝলমলে আঙিনা-সবকিছুকে আনন্দে কাটাতে পছন্দ করলেও তিনি এখন খুঁজে নিচ্ছেন জীবনের আসল আনন্দ গ্রামে, প্রকৃতির কোলে।
এই ঈদুল আজহাও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পরী এবারও সময় কাটালেন পিরোজপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে, প্রিয় নানাবাড়িতে। গাছের ডালে দোল খাওয়া থেকে শুরু করে পুকুরে জলকেলি—সব মিলিয়ে যেন শহরের কোলাহল থেকে পালিয়ে এক ফ্যান্টাসি জগতে ঢুকে পড়েছেন তিনি। আর সেখানেই দিয়েছেন এক অভিনব ঘোষণা—নিজের শৈশবের প্রিয় পুকুরের ওপরই বানাবেন কাচের বাড়ি!
পরীমনির ভাষায়, "এখানেই আমার সমস্ত শৈশব! এখানে আসলেই আমি ছোটবেলায় ফিরে যাই। কয়েকদিন পর এই পুকুরটা থাকবে না। এখানে একটা কাচের বাড়ি বানাব, ইনশাআল্লাহ।”
এই ঘোষণার সঙ্গে পরী তার পুকুরে সাঁতার কাটার একটি ভিডিও পোস্ট করলে, মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। অনুরাগীদের কৌতূহল ও উত্তেজনা এখন কাচের সেই স্বপ্নবাড়ি ঘিরেই। কেউ কেউ একে পরীর ‘জলমহল’ বলছেন, কেউবা বলছেন-‘স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ’। বাংলাদেশের শোবিজ ইতিহাসে এ ধরনের ঘোষণা সত্যিই ব্যতিক্রমী।
এক সময় ঈদুল আজহায় এফডিসিতে গরু কোরবানি দিয়ে শত শত মানুষের মাঝে মাংস বিলিয়ে দিতেন পরীমণি। সেটা ছিল তারকা হওয়ার আরেক রূপ। তবে সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে পরীও। জীবনে এসেছে প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ, মাতৃত্ব, জেলখানা—এবং হারানো এক প্রিয় নানার শোক। সবকিছুকে ছাপিয়ে এখন পরীমনি একজন ‘সিঙ্গেল মাদার’, যিনি দুই সন্তানকে ঘিরেই খুঁজে নিচ্ছেন জীবনের মানে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এখনো অগণিত ভক্তের ভালোবাসায় জড়িয়ে। আর এবার, সেই ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে একটি ‘কাচের বাড়ি’। যার নীচে থাকবে শৈশবস্মৃতির পুকুরের জল, আর ভিতরে থাকবে সময় ছুঁয়ে যাওয়া এক পরীমনির গল্প।