• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ভোটে আসা সব দলকে সরকার টাকা দিয়েছে : হিরো আলম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
ভোটে আসা সব দলকে সরকার টাকা দিয়েছে : হিরো আলম
আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। ফাইল ফটো

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব দলকে সরকার টাকা দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী (ডাব প্রতীক) আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হিরো আলম এ কথা জানান।

নির্বাচনে জামানত হারানো হিরো আলম অভিযোগ করে বলেন, “সরকার পাতানো নির্বাচনের নামে প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করতে বাংলাদেশ কংগ্রেসসহ ভোটে আসা সব রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের টাকা দিয়েছে। যে কজন স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়েছে, কংগ্রেস থেকে শুরু করে যে কয়টা দল দাঁড়িয়েছে, প্রতিটা দলকে সরকার টাকা দিয়েছে নির্বাচনে খরচের জন্য। আমার দলকেও টাকা দিয়েছে।”

হিরো আলম বলেন, “আমার দল কংগ্রেসকে প্রথমে এক কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। দলের চেয়ারম্যানসহ জোটের ছয়জন মিলে সেই টাকা খেয়ে ফেলেছেন। এটা নিয়ে দলে গন্ডগোলও লেগেছে। আমাকে দল থেকে ডেকে বলা হলো, নির্বাচনের মাঠে থাকার জন্য সরকার থেকে কিছু ফান্ড দিয়েছে। জানতে চাইলাম কী কারণে ফান্ড দিয়েছে? মাঠে থাকার জন্য। জানতে চাইলাম কত টাকা? বলা হলো, পোস্টারের জন্য ৩০ হাজার করে এবং জামানতের জন্য কিছু। সব মিলিয়ে ৬৫ হাজার করে টাকা দিয়েছে। আমি বলেছিলাম, আমার টাকা লাগবে না।”

এর আগে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর রামপুরায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হিরো আলম নির্বাচনে সব দলকে টাকা দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। হিরো আলম দাবি করেন, “সরকার যে টাকা দিয়েছে, সেই প্রমাণ চাইলে অনেক রেকর্ড আছে। প্রমাণ দেব। অনেক প্রমাণ আমার হাতে আছে।”

হিরো আলম বলেন, “সরকার প্রত্যেক প্রার্থীকে এক কোটি, দুই কোটি করে টাকা দিতে চেয়েছিল। এ কারণে ভোটের মাঠে এত এত স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। টাকা না পেয়ে অনেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। টাকা না পেয়ে জাতীয় পার্টির অনেকেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এতগুলো লোককে নির্বাচনী মাঠে ধরে রাখার জন্য সরকার টাকা ঢেলেছে।”

এদিকে গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে হিরো আলম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, “নির্বাচনে অনেক অনিয়ম হয়েছে। কেন্দ্র দখল হয়েছে। ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং হয়েছে। এই নির্বাচন বাতিল করতে হবে।”

৮ জানুয়ারি হিরো আলম রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে কয়েকটি অনিয়মের কথা উল্লেখ নির্বাচন বাতিল চেয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে ১৪ দলের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীকে ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মোল্লা ঈগল প্রতীকে ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে বিজয়ী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়া বাকি চারজনই জামানত হারিয়েছেন। হিরো আলম মাত্র ২ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়েছেন।

Link copied!