চিত্রনায়িকা পরীমনি এবার নিজের জীবনের এক একান্ত অনুভবের কথা প্রকাশ করলেন প্রথমবারের মতো। ছোটবেলায় নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন একটি নাচের স্কুলে। কিন্তু সেখানেই ঘটেছিল এমন এক ঘটনা, যা আজও তার মনে গেঁথে আছে।
মাছরাঙা টেলিভিশনের জনপ্রিয় পডকাস্ট ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’-তে উপস্থাপক রুম্মান রশীদ খানের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই ঘটনা শেয়ার করেন পরী।
পরীমনি বলেন, নাচ শেখার জন্য ভর্তি হয়েছিলাম এক স্কুলে। কিন্তু সেখানে একদিন সাদিয়া ইসলাম মৌ আপুকে সামনে থেকে দেখি। তাকে দেখে এতটাই অভিভূত হয়ে যাই যে, লজ্জায় বা ভয়েই হোক, সেদিনই স্কুল থেকে পালিয়ে যাই। আর কোনোদিন ফিরে যাইনি।
এই পর্বে উঠে এসেছে পরীমনির মা হয়ে ওঠার পর জীবনে আসা বড় পরিবর্তনের কথাও। দুই সন্তান পুণ্য ও প্রিয়মের কথা বলতেই চোখে-মুখে মায়ের মমতা ঝরে পড়ে তার কণ্ঠে।
পরীমনি জানান, আগে যা ইচ্ছে তাই করতাম। এখন প্রতিটি সিদ্ধান্ত অনেক ভেবেচিন্তে নেই। আগে কোনো সঞ্চয় ছিল না, এখন নিয়মিত সঞ্চয় করি ওদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
মজার ছলে আরও বলেন—আমি এখন পুণ্য আর প্রিয়মের মা। কিন্তু স্বপ্ন আছে ১০০টা বাচ্চার মা হওয়ার! ওদের দেখাশোনা করেই কাটিয়ে দিতে চাই পুরো জীবন।
ব্যক্তিগত জীবনের আরও একটি আবেগঘন মুহূর্ত স্মরণ করে পরীমনি জানান, প্রিয় নানার মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি নিজ হাতে আয়োজন করেছিলেন প্রায় আড়াই হাজার মানুষের খাবার। গরুর মাংসসহ বিভিন্ন পদ রান্নার প্রতিটি ধাপ তদারকি করেছিলেন নিজেই।