• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শাবিপ্রবিতে টংদোকান স্থাপনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি


সিলেট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২, ০২:০০ পিএম
শাবিপ্রবিতে টংদোকান স্থাপনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি

অহিংস আন্দোলনের অংশ হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) টংদোকান স্থাপনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকালে দেখা যায় ক্যাম্পাসের বি ও ই বিল্ডিংয়ের সামনে দুটি টংদোকান স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া প্রতিরাতে ক্যাম্পাসের গোল চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিবাদী গান ও কবিতা আবৃত্তি করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে পাঁচটি টংদোকান স্থাপন করব। বর্তমানে দুটি টংদোকানের কাজ শুরু হয়েছে। টংগুলোর নাম হবে ‘চাষাভূষার টং’।”

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “টংদোকান থাকলে শিক্ষার্থীরা হাতের কাছে সহজে খাবার খেতে পারে। এছাড়া টংদোকানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিভিত্তিক চর্চার সুযোগ পাওয়া যায়।”

জানা যায়, শাবিপ্রবিতে ৩য় সমাবর্তনের সময় ‘বি’ বিল্ডিংয়ের সামনের টংগুলো উঠিয়ে ফেলা হয় এবং গত বছর করোনা মহামারির কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একাডেমিক ভবন ‘সি’ ও ‘ই’ এর সামনের টংগুলো বন্ধ হয়ে যায়। পরে ক্যাম্পাস খুললেও এগুলো আর খুলে দেওয়া হয়নি।

এদিকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে অনশন ভাঙার পর থেকে প্রতিরাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিবাদী গান, কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদিতে ক্যাম্পাস উত্তাল করে রাখেন।

সার্বিক বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুহামিনুল বাশার রাজ বলেন, “ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আমরা অনেক দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা অনশন থেকে সরে আসলেও ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রাফিতি অঙ্কন ও বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে আমাদের অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

১৩ জানুয়ারি হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলেও এক পর্যায়ে ক্যাম্পাসে পুলিশি হামলা হয়। ভিসির প্রত্যক্ষ মদদে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালানোর ফলে পরবর্তীতে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে তারা। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন।

টানা আটদিন অনশন করার পর ভিসি নিজ পদে বহাল থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হবে বলে জানান। ভিসি পদত্যাগ না করলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানান।

এছাড়া গত ২৭ জানুয়ারি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনিকে ক্যাম্পাসে আসার আমন্ত্রণ জানান।

Link copied!