জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মহান মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টরের ঢাকা পশ্চিমাঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলার আয়োজন করা হবে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব বেনজির আহমেদ।
এ মিলনমেলায় ঢাকা, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ধামরাই ও সাভার এলাকার ৮ থেকে ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে একত্রিত হবেন। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বেনজির আহমেদ বলেন, ‘ঢাকা পশ্চিমাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকা বিজয়ের সর্বাধিক ভূমিকা পালন করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই সেক্টর থেকে সরাসরি ১৩টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এই অঞ্চলকে ঘিরে মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি রয়েছে। তাই এই মিলনমেলার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে পছন্দ করা হয়েছে। এই সাভারেই রয়েছে আমাদের স্মৃতিসৌধ। আরও আছে স্মৃতিবিজড়িত সাভার সেনানিবাস, যেখানে আমরা যুদ্ধ শেষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়েছিলাম। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে অনেকগুলো গেরিলা হামলা পরিচালনা করেন এখানকার মুক্তিযোদ্ধারা।”
অনুষ্ঠানে জাকসুর সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, “আমি জাকসুর ভিপি থাকা অবস্থায় এই মুক্তমঞ্চ হয়েছিল। ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াত-শিবিরের অত্যন্ত প্রভাব ছিল। জাকসুর ভিপি হিসেবে এই স্থানে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম আজ থেকে জাহাঙ্গীরনগরে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলো। সেই থেকে এখন পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ আছে এই ক্যাম্পাসে।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবং ঢাকা-১৯ আসনের সাংসদ ডা. এনামুর রহমান, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ মনিরা সুলতানা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আলমগীর কবির, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান, অধ্যাপক আবদুল্লাহ হেল কাফি, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন প্রমুখ।