সময় যত যাচ্ছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা ততই খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন অনশনস্থলে কর্তব্যরত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক মো. নাজমুল হাসান।
চিকিৎসক বলেন, “শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। তাদের ব্লাড প্রেশার দ্রুত নিচের দিকে যাচ্ছে। তাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও কমে যাচ্ছে। আমরা তাদের জন্য স্যালাইনের ব্যবস্থা রেখেছি। তাদের স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।”
মো. নাজমুল হাসান বলেন, “অনশনের ৭৭ ঘণ্টা পার হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীদের মুখে খাবার দেওয়াটা এখন খুব জরুরি। তাদের জোর করেও কিছু খাওয়ানো যাচ্ছে না। যদি এমন হয় তাহলে তাদের বড় ধরনের শারীরিক জটিলতার আশঙ্কা করছি আমরা।”
এদিকে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশনের ৭৭ ঘণ্টা পার হয়েছে। একটু পর পর বাজছে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন। অনশনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন শিক্ষার্থী। তারা নগরীর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে শনিবার বিকেলে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে প্রতীকী মরদেহ নিয়ে কাফন মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে তারা সেখানে কিছু সময় অবস্থান করেন।
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গত বুধবার বিকেল থেকে ২৪ জন শিক্ষার্থী বসেছেন আমরণ অনশনে। তাদের দাবি, উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন।