সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল, ২০২৩ সংসদে পাস হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়।
এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।
বিলে বলা হয়েছে, চাকরিরত অবস্থায় কোনো শিক্ষকের মৃত্যু হলে তার নাবালক সন্তানের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার ব্যয় বহন করা হবে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী শিশু বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর প্রয়োজনে খরচ দেওয়া হবে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, চিকিৎসা ব্যয়সহ কিছু আর্থিক সুবিধা পাবেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্রাস্ট ফান্ডে জমা দিতে হবে এবং তা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে।
বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, “প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে কারণ এখন ছাত্র ঝরে পড়ার হার ৪৫ শতাংশ থেকে ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে।”
বিল পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, বেগম রওশন আরা মান্নান এবং সরকারি দলের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।
সূত্র : বাসস।