মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় আগেই গত ৯ আগস্ট পদত্যাগ করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ। এদিকে প্রো-ভিসি নেই, প্রক্টরের পদত্যাগ, রেজিস্ট্রার ছুটিতে থাকায় এখন পুরোপুরি অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। আটকে আছে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষার ফলাফল, উত্তোলন করতে পারছে না সার্টিফিকেট মার্কশিটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি।
এতে সেশনজট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কে কী করছে, তার জবাবদিহিতার কেউ নেই। তাই একরকম ‘অনিরাপদ’ হয়ে পড়েছে পুরো ক্যাম্পাস।
গত ১০ মার্চ মেয়াদ শেষ হয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনার। পরবর্তীতে এই পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
গত ৬ আগস্ট প্রক্টর, পরিবহন পুলের পরিচালক, লাইব্রেরি পরিচালক, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট, বহিরাঙ্গন বিভাগের পরিচালক এবং ছাত্র উপদেষ্টা ও পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক পদত্যাগ করেন। এছাড়া স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে দ্রুত চিকিৎসার জন্য পরিবারের কাছ থেকে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি প্রয়োজন দেখিয়ে গত ৭ আগস্ট থেকে ছুটি নিয়েছেন প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী।
ক্যাম্পাসে এমন অবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান ইশা বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তি নেই। আমরা চাই, উপাচার্যসহ সকল দপ্তরের অতি জরুরি নিয়োগ দেওয়া হোক। যার নীতিতে ‘দুর্নীতি’ থাকবে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোর উন্নয়নে যাকে তেলমর্দন করতে হবে না। একজন দায়িত্ববান মানুষ চাই, যিনি শিক্ষার্থীদের সমস্যা বুঝবেন এবং সেটা সমাধান করবেন।”