শিক্ষা ক্যাডার বিলোপের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সরকারি কলেজশিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন অভিযোগ করেন।
শাহেদুল খবির বলেন, ‘শিক্ষা ক্যাডার বিলোপের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে আমাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরে শিক্ষা ক্যাডারের লোক থাকছে না। এ জন্য আমাদের মনে হচ্ছে, এ ক্যাডারের অস্তিত্ব বিপন্ন। আমরা বাধ্য হয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করছি। আমাদের অবস্থান হলো দায়িত্বরতদের আমাদের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের বাধ্য করা।’
শাহেদুল খবির আরও বলেন, ‘শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত পদগুলো দখলে সম্পূর্ণ অজ্ঞাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার জন্য আলাদা নিয়োগ বিধিমালা করা হয়েছে, যা ‘বিসিএস সাধারণ শিক্ষা কম্পোজিশন অ্যান্ড ক্যাডার রুলস-১৯৮০’ এর পরিপন্থী।’
কর্মকর্তার সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় দুটি ক্যাডারের একটি হলো শিক্ষা। এই ক্যাডারে মোট ১৫ হাজার ৯৫০টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ১৪ হাজারের কিছু বেশি। তাঁদের অধিকাংশই সরকারি কলেজের শিক্ষক। কিছু সদস্য মাউশিসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির মহাসচিব মো. শওকত হোসেন মোল্লা শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে আগামী ২ অক্টোবর সারা দেশে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন।
শওকত হোসেন বলেন, ‘আগামী ২ অক্টোবরের কর্মসূচির পরও দাবি আদায় না হলে আগামী ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিন দিন সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পদোন্নতিতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে শিক্ষা ক্যাডারে। এই মুহূর্তে ৭ হাজার কর্মকর্তা সব যোগ্যতা পূরণ করে পদোন্নতির অপেক্ষায় রয়েছে। সময়মতো পদোন্নতি না হওয়ায় অনেকে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসরে যাচ্ছেন।’
যোগ্য সকল কর্মকর্তার পদোন্নতি ব্যতীত আংশিক পদোন্নতি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সম্প্রতি ৬৯০ জন শিক্ষককে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সমিতির দাবির প্রতিফলন ঘটেনি বলেও তিনি জানান।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ সভাপতি মো. মামুল উল হক, সহ সভাপতি ড. আ জ ম রুহুল কাদীর, যুগ্ম–মহাসচিব বিপুল চন্দ্র সরকার, প্রচার সচিব প্রফেসর মোহাম্মদ ফাতিহুল কাদীরসহ আরও অনেকে।