কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির থেকে পালিয়ে সমুদ্র পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়াগামী ১০২ রোহিঙ্গাকে আটক করে ৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন মিয়ানমারের একটি আদালত। একই সঙ্গে আরও ৯০ জন শিশুকে পরিবারের অভিভাবকদের হেফাজতে দিয়েছে বলে জানা গেছে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১০২ রোহিঙ্গা ছাড়া দুই বাংলাদেশি ও পাঁচজন মিয়ানমারের নাগরিকও রয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪৫ জন মুসলিম পুরুষ, ৫৭ জন মুসলিম নারী, দুইজন বাংলাদেশি নাগরিক এবং পাঁচজন মিয়ানমারের বার্মিজ নাগরিক রয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম জানায়, বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপ আদালত অভিবাসন আইনের ১৩ (১) ধারার এ সাজা প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষের থাজিন লিগ্যাল ইনস্টিটিউটের আইনজীবী টিন ওও হ্লাইং বলেছেন, মামলায় বাকি ৯০ জন মুসলিম নাবালককে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্ত শিশুদের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। এসব নাবালক শিশুরা কিন চাউং থানা হেফাজতে থাকবে এবং তাদের অভিভাবকদের কাছে ফেরত পাঠানো হবে।
গত ২৯ নভেম্বর সকাল ৬টার দিকে রাখাইনের রাজধানী সিত্তওয়ে থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগর হতে মালয়েশিয়াগামী একটি অবৈধ চোরাচালানী ফিশিং বোটসহ এসব অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
উক্ত আইনজীবী জানান, সাজাপ্রাপ্ত ও মুক্তিপ্রাপ্ত মুসলমানরা ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যের বুথিডং এবং মংডু টাউনশিপের বিভিন্ন গ্রাম থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশের আশ্রয় ক্যাম্প থেকে মানবপাচারকারী দালালদের মাধ্যমে তারা ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাচার হচ্ছিল।