কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেল (৫২) ও তার সহযোগী হত্যার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। গ্রেপ্তারও করা হয়নি কাউকে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাউন্সিলর সোহেলের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে নগরের সাহাপাড়া এলাকায় আনা হয়। আজ বাদ জোহর কুমিল্লা নগরের পাথুরিয়াপাড়া ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
নিহত সোহেলের স্ত্রী শাহনাজ আক্তারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, সোমবার রাতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।
এদিকে সোহেলের সহযোগী হরিপদ সাহার মরদেহ সাহাপাড়া এলাকার বাসায় নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে সোহেলকে কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় গুলিতে তার সহযোগী হরিপদও নিহত হন।
নিহত মো. সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলেন তিনি। নিহতের বাড়ি নগরের সুজানগর এলাকায়। এর আগে ২০১২ ও ২০১৭ সালে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন তিনি। পরে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।
