পরিবেশ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২১ এর জন্য দুইজন ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে এ পদকের জন্য মনোনয়ন হয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার এম এ মতিন (মতিন সৈকত)।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় পরিবেশ পদক- ২০২১ প্রদান’ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মতিন সৈকত।
জানা যায়, মতিন সৈকত একজন শিক্ষক। পাশাপাশি ২৭ বছর ধরে ১৫০ বিঘা বোরো ক্ষেতে সেচ দিয়ে যাচ্ছেন। সেচে এককালীন মৌসুমে বিঘাপ্রতি মাত্র দুইশ টাকা খরচ হচ্ছে। কম খরচে পাকা ধান কেটে পানি সরবরাহ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
এছাড়াও দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি নিজ এলাকার কালাডুমুর নদ ১১ কিলোমিটার পুনঃখননের ব্যবস্থা করেছেন। প্লাবনভূমিতে জনগণের সম্পৃক্ততায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আপুসি, বিসমিল্লাহ ও আপুবি মৎস্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন।
সম্প্রতি গণসচেতনতায় বাংলাদেশ পরিবেশ স্কুল নামে দেশের প্রথম পরিবেশ স্কুল গড়ে তুলেছেন। এছাড়াও মতিন সৈকত বিষমুক্ত ফসল, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন আন্দোলন, সামাজিক উন্নয়ন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় গত ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন।
জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বাইশ ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের ক্রেস্ট, ৫০ হাজার টাকার চেক ও সনদপত্র দেওয়া হবে। এ পদক সাধারণত জুন মাসে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দিয়ে থাকেন।