চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আবারও দুই অঙ্কে পৌঁছেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে আরও ১০ জন শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ০.৭২ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
শনিবার (২০ নভেম্বর) চট্টগ্রামের করোনাসংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
এর আগে ১২ নভেম্বর (শুক্রবার) চট্টগ্রামে সর্বশেষ ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর আটটি ল্যাবে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১০ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ৬ ও তিন উপজেলার ৪ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ৩৪৭। এর মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ৪৮ ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৯৯ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ২ জন, পটিয়া ও সাতাকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারও মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩০ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০৭ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৩৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৩ জন ও গ্রামের একজন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৬৭ জনের নমুনার মধ্যে শহর ও গ্রামের একজন করে আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২টি নমুনায় গ্রামের ২টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ২৮১ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষিত ২৯৪টি নমুনার মধ্যে একটি করে পজিটিভ চিহ্নিত হয়।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩২, বেসরকারি ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৩৭, এপিক হেলথকেয়ারে ৬ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চার ল্যবরেটরিতে ৩৮৯ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ আসে।
এদিন নগরীর বিশেষায়িত কোভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, অ্যান্টিজেন টেস্ট, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনাও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডিতে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চমেকে ২ দশমিক ৯৮, সিভাসু’তে ১৬ দশমিক ৬৬, শেভরনে ০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, মা ও শিশু হাসপাতালে শূন্য দশমিক ৩৪ এবং চবি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, এপিক হেলথকেয়ার ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে শূন্য শতাংশ।