• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী-সতীন পলাতক


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২, ০৭:১২ পিএম
গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী-সতীন পলাতক

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় শেফালী খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ তার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পরে স্বামী ও তার সতীন পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের সেনগ্রাম মোহাজেরপাড়া গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

শেফালীর আত্মীয়-স্বজনরা জানান, মৃত্যুর আগে তাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান নিহতের স্বজনরা।

এদিকে ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়েছেন শেফালীর সতীন বাছিরুন্নেছা ও স্বামী আলাউদ্দিন। আর শেফালীর বসতঘর থেকে আসবাবপত্র নিয়ে গেছেন স্বামীর স্বজনেরা।

পারিবারিকভাবে জানা যায়, বছর দুয়েক আগে শেফালীকে বিয়ে করেন সেন গ্রামের মহাজনপাড়া আলাউদ্দিন। এর আগে নুর মোহাম্মদ নামের একজনের স্ত্রী ছিলেন শেফালী। সে ঘরে তার দুই মেয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ের পর বিদেশে যান শেফালী। বেশ কিছুদিন আগে দ্বিতীয় স্বামীর বাড়ি আসেন।

সূত্র থেকে আরও জানা যায়, শেফালীর প্রথম পক্ষের বড় মেয়ের বিয়ে ছিল সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি)। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতে আলাউদ্দিনের বাড়িতে ফেরেন শেফালী। প্রতিবেশিরা রাতে আলাউদ্দিনের বাড়িতে ঝগড়া শুনতে পান।

পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনার আগে নিজের ঘরে রাতযাপনের জন্য স্বামীর কাছে আবদার করেন শেফালী। সতীন তাতে বাধা দিলে এনিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। পরে শেফালী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে স্বামী ও সতীনসহ বাড়ির লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পাবনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে পাবনা সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, সেটা জানা যাবে।”
 

Link copied!