পাবনার ঈশ্বরদী গোলচত্বর আর আগের মতো নেই। এটি উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সংযোগস্থল। এখানে একসময় ছিল নিত্যদিনের যানজট, ধুলাবালি আর ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর। আজ সেখানে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান। ফুটে আছে হরেক রকমের ফুল। ফুল শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের চারপাশে। এই সৌন্দর্যবর্ধনের দাবিদার পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
স্থানীয়রা বলছেন, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সংযোগস্থল পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া গোলচত্বর। একসময় এটা ছিল দুর্ভোগের অপর নাম। জলাবদ্ধতা ছিল অসহনীয়, প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট, গাড়ি বিকল, ময়লা আবর্জনায় চারপাশ ছিল ভরপুর। এ নিয়ে ক্ষোভের শেষ ছিল না পথচারী ও সাধারণ মানুষের। কিন্তু আজ সেখানে ফুটে উঠেছে নজরকাড়া সৌন্দর্য। নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। ম্যুরাল ঘিরে চারপাশে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান।
স্থানীয়রা জানান, দুই বছর আগেও এখানে ধুলাবালি, আবর্জনার দুর্গন্ধে টেকা ছিল দায়। অসহনীয় যানজট লেগে থাকত। বর্ষার সময় ছিল জলাবদ্ধতা। খুব কষ্ট হতো। আর এখন কোনো ঝামেলা নেই।
কলেজছাত্রী শামীমা সুলতানা বলেন, “আগে এ সড়ক দিয়ে যেতে খারাপ লাগত। কেমন যেন রুক্ষ পরিবেশ ছিল। আর এখন খুব ভালো লাগে। ফুলের সৌন্দর্য মনটা কেড়ে নেয়। বিকেলে অনেক জায়গা থেকে এই ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসে অনেকেই।”
এই সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার কাজ বাস্তবায়ন করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আমান উল্লাহ বলেন, “মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আমাদের একটি নির্দেশনা ছিল জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সুসজ্জিতকরণ। তারই ধারাবাহিকতায় দাশুড়িয়া মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন ও ফুলের বাগান তৈরি করা হয়েছে।”
পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইলিয়াস ফারুক বলেন, “শুধু যানজট নিরসনই নয়, একই সঙ্গে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে মানুষের রুচিতে পরিবর্তন আনতে চাই। আর সেটা আমরা সড়ক থেকেই শুরু করতে চাই। ভবিষ্যতেও জেলার অন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এভাবে সৌন্দর্যবর্ধন করার পরিকল্পনা রয়েছে।”