ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গতি পরীক্ষার জন্য ৬০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে একটি ট্রেন পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ৪বার যাতায়াত করে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার সময় আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকার কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আসে প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন। সেদিন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছিলেন, আগামী ১০ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ও শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুদিন ৪বার করে মোট ৮বার ট্রেনটি ট্রায়েল রান করবে। পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রায় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করবেন সেনাবাহিনী ও রেল প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে পদ্মা রেল প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সহকারী প্রকৌশলী মো. শাদমান শাহরিয়া জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার সময় আন্তঃনগর ট্রেন ৬০ কিলোমিটার বেগে ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আবার সেই ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাওয়া থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে ৮০ কিলোমিটার বেগে চালানো হয়। এরপর সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া উদ্দেশে ১০০ কিলোমিটার বেগে ছেড়ে যায়। আবার মাওয়া থেকে বেলা সাড়ে ১১টার সময় ভাঙ্গা উদ্দেশে ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেনটি ট্র্যায়েল রান করানো হয়।
শাদমান শাহরিয়া বলেন, “প্রথমে ৬০, তারপর ৮০, তারপর ১০০ ও সর্বশেষ ১২০ কিলোমিটার গতিতে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রায়েল রান করানো হয়। পরপর ২দিন এভাবে চালানো হবে। সেনাবাহিনী ও রেল প্রকল্পের সকল প্রকৌশলীরা ট্রেন চলাচল পর্যবেক্ষণ করবেন। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১০ অক্টোবর সকালে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন। ওইদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেবেন।”
তিনি আরও জানান, আগামীকালও (শনিবার) একইভাবে ৪বার পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ১২০ কিলোমিটার বেগে ভাঙ্গা-মাওয়া রেলস্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে।



















-20251027102457.jpeg)



















