• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসছে না ৩১ লাখ টাকার সেতু


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩, ০৮:২৮ এএম
সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসছে না ৩১ লাখ টাকার সেতু

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চিরি নদীর ওপর সেতু নির্মাণের সাত বছরেও সংযোগ সড়ক না থাকায় কোনো কাজেই আসছে না। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই পারের কয়েক হাজার মানুষকে। এদিকে চলতি বছরে চিরি নদী খননের পর বৃষ্টি ও জোয়ারে পানি আসায় সেতুটির বটম স্লাভের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে সুড়ঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সেতুটি দেবে গেছে এবং ওপরের রেলিং ও পিলারে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে যেতে পারে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা।

উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের আরজি অনন্তপুর ও জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধলাহার ইউনিয়নের ভানাই কুশলিয়া গ্রামের মধ্যবর্তী চিরি নদীর ওপর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট প্রকল্পের আওতায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়। যার ব্যয় ছিল প্রায় ৩১ লাখ টাকা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যর এ সেতুর পূর্ব পাশে কোনো সংযোগ সড়ক নেই।

আরজি অনন্তপুর গ্রামের আব্দুল কাদের বলেন, একটি ব্রিজের অভাবে আমরা দুই গ্রামের বাসিন্দারা দুর্ভোগে ছিলাম। সাত বছর আগে যখন ব্রিজটি হলো, তখন আমরা সবাই আশা করেছিলাম এবার হয়তো আমাদের কষ্ট লাঘব হবে। কিন্তু সাত বছরেও ব্রিজটির দুই পাশে রাস্তা হয়নি।”

ভানাইকুশলিয়া গ্রামের ভ্যানচালক ফজর আলী বলেন, “ব্রিজ হলেও রাস্তা না হওয়ায় ভ্যান নিয়ে এপার-ওপার যাওয়া যায় না। নদীতে বর্ষার পানি আসায় ব্রিজের নিচে সুড়ঙ্গ হয়ে পানি যাওয়ায় পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে করে যেকোনো সময় ব্রিজটি ভেঙে যেতে পারে।”

আয়মারসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিল্টন বলেন, “সংযোগ রাস্তা না থাকায় জনগণের চলাচলের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি চিরি নদী খনন করার করার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল শহীদ মুন্নার সঙ্গে আলোচনা ও তার পরামর্শে রাস্তায় মাটি দেওয়ার ব্যবস্থা করি। তবে বর্ষার শুরুতে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি সেতুটির স্লাভের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়াই সেতুটি হুমকির মুখে পড়েছে। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে যেতে পারে।”

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রেফাউল আজম বলেন, “সেতুর ৫০ ফিট দূরত্ব থেকে খাল খননের নিয়ম থাকলেও নদী খননকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাটি খননের সময় সেই নিয়ম মানেনি। এতে করে বটম স্লাভের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সেতুটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুতই তাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ব্রিজের সংযোগ রাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে রেফাউল আজম বলেন, “সংযোগ রাস্তা পরে, আগে ব্রিজ রক্ষা হোক। পরে দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াতের বিষয় বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!