• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কচুরিপানায় ঘেরা স্কুল, বন্ধ পাঠদান


হাসান সিকদার, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৩:১৭ পিএম
কচুরিপানায় ঘেরা  স্কুল, বন্ধ পাঠদান
কচুরিপানায় ভরে গেছে বিদ্যালয়ের চারপাশ

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার রাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠসহ চারপাশ কচুরিপানায় ভরে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের মেঝে, মাঠসহ চারপাশ পানি ও কচুরিপানায় ভরে যায়। বর্তমানে মেঝে থেকে পানি নেমে গেছে। তবে চারপাশের কচুরিপানার কারণে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারছেন না শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এজন্য বন্ধ রয়েছে পাঠদান।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী তানজিলা আক্তার তন্নি বলেন, “বর্ষা হলে স্কুলের চারপাশে পানি ওঠে, আমরা পড়াশোনা করতে পারি না। কয়েকদিন আগেও পানি উঠেছিল তখন স্কুলেও যেতে পারি নাই। টাগইপানায় (কচুরিপানা) ভরে গেছে চারপাশ। নৌকা নিয়ে যেতেও কষ্ট হয়। অন্যান্য স্কুল খোলা আছে কিন্তু আমাদের স্কুল বন্ধ, তাই পড়াশোনা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছি। আমরা সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনা করতে চাই।”

আরেক শিক্ষার্থী প্রসেনজিৎ সরকার বলেন, “কষ্ট করে আমাদের ক্লাসে আসতে হয়। চারপাশে পানি আর কচুরিপানা দিয়ে ভরে গেছে। আমরা সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনা করতে চাই।”

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের মিয়া সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “দুই বছর ধরে শুনছি বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। এখনো কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এই এলাকাটি নিম্নাঞ্চল হওয়ায় বর্ষাকাল এলেই বিদ্যালয়ের মাঠ ও মেঝেতে পানি ওঠে। তখন শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এখন বিদ্যালয়ের মেঝে থেকে পানি নেমে গেছে। বিদ্যালয়ের চারপাশেই কচুরিপানা রয়েছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

রাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হোসনে আরা আক্তার পপি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমি ২০১৮ সালে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করি। যোগদানের পর থেকেই আমি চেষ্টা করছি নতুন ভবন ও বন্যা আশ্রয়ণকেন্দ্র আনার জন্য। নিচে খোলা থাকবে আর উপরে পাঠদান চলবে। গত বছরও আবেদন করেছি। ২০২১ সালে যখন বড় বন্যা হয় তখনো ছবিসহ আবেদন করেছি, কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এ বছরও আমি অফিসারদের ম্যাসেঞ্জারে বিদ্যালয়ের ছবি পাঠিয়েছি। ওনারা যদি ব্যবস্থা না নেয় আমার তো করার কিছু নাই।”

তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের চারপাশে কচুরিপানা রয়েছে। বিদ্যালয়ের মেঝেতে একফুট পানি ছিল। দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার তিনটি পরীক্ষা বিদ্যালয়ে নিতে পারলেও আর তিনটি পরীক্ষা রাশড়া করিম বাজার গ্লোবাল কিন্ডার গার্টেনে নিতে হয়েছে। তিনটি পরীক্ষা নেওয়ার পর বিদ্যালয়ের মেঝেতে পানি চলে আসে। পানি মেঝে থেকে নেমে গেলেও বিদ্যালয়ের চারপাশে কচুরিপানা রয়েছে।

বাসাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনজুম আরা বেগম বীথি জানান, “আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি। শুনেছি রাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে প্রতি বছরই পানি ওঠে। আমি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। শুধু রাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না আরও কিছু বিদ্যালয়ে পানি ওঠার খবর জেনেছি। এই বিদ্যালয়গুলো বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র করা দরকার ছিল।”

Link copied!