বগুড়ার ধুনটে মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারীকে (৩৫) বিধবা ভাতা কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আসাদুল শেখ (৪০) ও পল্লি চিকিৎসক ফরহাদ হোসেনকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আসাদুল উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হিজুলী গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে ও পল্লি চিকিৎসক ফরহাদ উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের আবুল ফজল খানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারীর স্বামী বিয়ের চার-পাঁচ বছর পর নিখোঁজ হন। প্রতিবন্ধী ওই নারীর মেয়ে বর্তমানে ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ফলে ওই নারী গ্রামের বাড়িতে একাই থাকতেন। এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী হিজুলী গ্রামের আসাদুল ওই নারীকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আসাদুল পল্লি চিকিৎসক ফরহাদের সহযোগিতায় শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকালে জোরপূর্বক গর্ভপাত করান। পরে ভ্রুণটি বাড়ির পাশে মাটিচাপা দিয়ে পুঁতে রাখেন। ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে রোববার (২৩ এপ্রিল) রাতে পুলিশ খবর পেয়ে ভ্রুণটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকালে আসাদুল ও ফরহাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে রাতেই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, “ভ্রুণটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পল্লি চিকিৎসক ফরহাদ হোসেন ও মূল হোতা আসাদুল শেখকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
আপনার মতামত লিখুন :