নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্বামীর সহায়তায় গৃহবধূকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগে মো. মাসুদ (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে সুধারাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন। এর আগে, রোববার রাত ২টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর দাদপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
মো. মাসুদ উপজেলার বারাহীপুর গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে। মামলার অপর আসামি নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী একই গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে মো. হেলাল (২৬)।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর স্বামী অটোরিকশা চালক। তাদের ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। রোববার রাতে অটোরিকশা চালানো শেষে বাড়ি ফিরে আসেন ভুক্তভোগীর স্বামী। পরে স্বামী-স্ত্রী তাদের ঘরে বিছানা পেতে ঘুমাতে যান। এ সময় স্বামী তাকে জানান- ‘তার পক্ষে আর একা সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। একজন লোক আসবেন। তার সঙ্গে তোমাকে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে।’ এ কথা শুনে স্বামীর সঙ্গে তার স্ত্রীর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। স্বামীর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে হুমকি দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে ভুক্তভোগীর স্বামী তার ওড়না দিয়ে দুই হাত বেঁধে ফেলেন। পরে স্বামী বসতঘরের দরজা খুলে দিলে মাসুদ ঘরে প্রবেশ করেন। একপর্যায়ে স্বামীর সহায়তায় মাসুদ ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। সকালে ভুক্তভোগী বিষয়টি পরিবারের সবাইকে জানান।
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ মামলার প্রধান আসামিকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।