• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বৃষ্টিতে ভেসে গেল ৯ কোটি টাকার পোনা মাছ


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৩, ০৬:২৭ পিএম
বৃষ্টিতে ভেসে গেল ৯ কোটি টাকার পোনা মাছ

টাঙ্গাইলে একদিনের ভারী বৃষ্টির ফলে ভেসে গেছে ৯ কোটি টাকার পোনা মাছ। এতে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মৎস্য চাষিরা। দিশাহারা হয়ে পড়েছেন নতুন মৎস্য উদ্যোক্তারা। সরকারিভাবে প্রণোদনা সহায়তা না পেলে ঋণের বোঝা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির কারণে জেলার ১২টি উপজেলায় ৩৬৭টি পুকুর তলিয়ে যায়। এরমধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৩০ জনের ৫০টি পুকুর, মির্জাপুরে ৫০ জনের ৫০টি পুকুর, নাগরপুরে ৪৫ জনের ৪৫টি পুকুর, সখীপুরে ৬২ জনের ১৬৭টি পুকুর এবং ঘাটাইলে ৫৫ জনের ৫৫টি পুকুর তলিয়ে যায়। এসব পুকুর থেকে ৮২ লাখ পোনা মাছ বেরিয়ে গেছে। যার মূল্য ৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

নতুন মৎস্য উদ্যোক্তা ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া গ্রামের হযরত আলী বলেন, “প্রথমবারের মতো বাড়ির পাশে এবার ২ বিঘা জমিতে মাছ চাষ করেছিলাম। দুই মাসে বিভিন্ন প্রজাতের মাছের পোনা অবমুক্ত করি। গত কয়েকদিন আগে একদিনের বৃষ্টির পানিতে পুকুর তলিয়ে সব পোনা বের হয়ে যায়। এনজিও থেকে ঋণ করে মাছ চাষ করেছিলাম। আমার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর এলাকার মাছ চাষি মজিবুর রহমান ও হুমায়ন কবীর বলেন, “আমরা এ বছর ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরে মাছ চাষ করেছিলাম। মাছের মধ্যে পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, সরপুঁটি ও মিনার কার্ফসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ চাষ করি। সেগুলো বেশ বড় হয়েছিল। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে ভারী বৃষ্টিতে পুকুর তলিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার পোনা মাছ লোকালয়ে বের হয়ে যায়। পুকুর নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। বৃষ্টির পানিতে স্বপ্নগুলো ভেসে গেছে।”

সখীপুর উপজেলার শরিফ মিয়া ও জাকির হোসেনসহ একাধিক মাছ চাষি বলেন, “এবার বৃষ্টির কারণে যে ক্ষতি হয়েছে এর আগে এমনভাবে কখনো এমন হয়নি। কীভাবে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠব বুঝতে পারছি না। তাছাড়া এ পর্যন্ত মৎস্য অফিস থেকে কেউ খোঁজ-খবর নেয়নি। ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য মৎস্য অফিস থেকে সরকারি প্রণোদনা ও সহযোগিতা কামনা করছি।”

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে জেলার ৩৬৭টি ছোট-বড় পুকুর তলিয়ে ৮২ লাখ পোনা মাছ লোকায়ের খাল-বিলের পানিতে ভেসে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষিরা যদি ব্যাংক ঋণের জন্য সহযোগিতা চান তাহলে সেই ব্যবস্থা করা হবে। 

Link copied!