বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে পরিণত হয়েছে। এটি ক্রমশই বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। এর প্রভাবে সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোর থেকে সাতক্ষীরায় হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাঘাটে লোক চলাচল কম করছেন। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আগাম সতর্ক বার্তা থাকায় খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ভাটা থাকায় উপকূলীয় অঞ্চলের নদ নদীগুলোতে পানি বাড়েনি।
দুপুরে জোয়ার শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জুলফিকার হোসেন।
এদিকে রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা ত্রাণ ও দুর্যোগ বিভাগের এক জরুরি সভায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির জানান, জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগের ৭৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্য ১০টি পয়েন্টে ৮০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বেড়িবাঁধ ভাঙন এড়াতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ২০ হাজার জিও ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া জেলার আশাশুনি উপজেলায় ১০৮টি, শ্যামনগর উপজেলায় ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় ওষুধ, সুপেয় পানিসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।