ঘন কুয়াশা আর প্রতিকূল আবহাওয়ায় আলুর আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জয়পুরহাটের কৃষকেরা। কয়েক দিনের কুয়াশা ও কনকনে শীতে আলুগাছের সবুজ পাতায় পচন দেখা দিয়েছে। যা ‘লেইট ব্লাইট’ রোগ নামে পরিচিত। পচন রোধে ছত্রাকনাশক কীটনাশক ছিটিয়ে আবাদ রক্ষার চেষ্টা করছেন কৃষকেরা।
সরজমিনে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশায় আলুগাছের সবুজ পাতা ও ডগায় পচন ধরেছে। এই রোগ একবার দেখা দিলে তা দ্রুত পুরো ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রভাবে ক্ষেতের আবাদ উজাড় হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। তাই ঘন কুয়াশা আর শীতের মধ্যে আলুগাছের রোগ দমন রোধে ছত্রাকনাশক ছিটিয়ে আবাদ রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জয়পুরহাট জেলায় ৩৮ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। গত মৌসুমে আলুর ভালো দাম পাওয়ায় লাভের আশায় এবার চাষিরা আলু চাষে ঝুঁকে পড়ায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার ১৩৫ হেক্টর বেশি জমিতে, অর্থাৎ ৩৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমি আলু চাষের আওতায় এসেছে। এর মধ্যে সাড়ে সাত হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে।
এবার ৩৮ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করে ৯ লাখ ২৭ হাজার ৬৮৯ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। তবে ১৩৫ হেক্টর বেশি জমিতে এবার আলুর চাষ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে বেশি ফলন পাওয়ার কথা। কিন্তু শীতজনিত কারণে ‘লেইট ব্লাইট’ রোগের সংক্রমণের কারণে আলুর ফলন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাহেলা পারভীন বলেন, “আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় লেইট ব্লাইট বা নাবিধসা রোগ দেখা দিয়েছে। এ জন্য আমরা সব সময় কৃষকদের সঙ্গে আছি। এ রোগ দমনে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পাশে থেকে বিভিন্ন রকমের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এতে ফসলের তেমন ক্ষতির শঙ্কা নেই। বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলেই সমস্যা সমাধান হবে।”
আপনার মতামত লিখুন :