• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

‘পলিনেট হাউসে’ চাষ হচ্ছে বিষমুক্ত সবজি


জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩, ১১:৩৪ এএম
‘পলিনেট হাউসে’ চাষ হচ্ছে বিষমুক্ত সবজি

আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কীটনাশক ছাড়াই বিষমুক্ত ভাবে ’পলিনেট হাউসে’ সবজি চাষ করছেন জেলার পাঁচবিবি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক। এ পদ্ধতি কৃষি উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৃষি বিজ্ঞানের নতুন উদ্ভাবন এ ’পলিনেট হাউস’। পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের পশ্চিম ধুরইল গ্রামের কৃষক রবিউল আলম ও আব্দুর রহমান ’পলিনেট হাউস’ পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে সফলতার স্বপ্ন বনছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, পলিনেট হাউসে শীতকালের সবজি যেমন গ্রীষ্মকালেও উৎপাদন করা যাবে, তেমনি গ্রীষ্মকালীন সবজিও শীতকালে উৎপাদন করা যাবে। আবহাওয়া এতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা পলিনেট হাউসে  ভারি বৃষ্টিপাত, তাপদাহ, পোকামাকড়, ভাইরাসজনিত রোগের মতো প্রতিকূল পরিবেশেও নিরাপদ থাকবে সবজি। কীটনাশক দিতে হবে না।  
সরেজমিনে দেখা যায়, পলিনেট হাউসে চাষ হচ্ছে মিন্টো সুপার ও বাহুবলী জাতের টমেটো, সানড্রপ জাতের কাঁচা মরিচ, বিটি জাতের বেগুন, কুইন অ্যানি জাতের আলু, ব্রকলি, ফুলকপি, হার্টবিট, গাজর, লেটুসসহ অন্যান্য সবজি।

কৃষক আব্দুর রহমানের জমির পরিমাণ ১৫ শতক। লোহার অ্যাঙ্গেল ব্যবহার করে পলিনেট হাউস নেট দিয়ে ঘেরার জন্য পোকামাকড় ঢুকতে পারেনা। সেখানে রয়েছে সেচ দেওয়ার আধুনিক প্রযুক্তি। পলিনেট তৈরি করতে পুরো খরচ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। এ টাকা পরিশোধ করতে হবে না। আব্দুর রহমান ও রবিউল আলমের পলিনেট হাউসে তিনজন শ্রমিক কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন।

আব্দুর রহমান জানান, কৃষি বিভাগ থেকে অক্টোবর মাসে পলিনেট হাউস নির্মাণ করে দেওয়া হয়। বাজারে তুলনামূলকভাবে পলিনেট হাউসে উৎপাদিত সবজির চাহিদা অনেক বেশি।

রবিউল জানান, পলিনেট হাউসে সবজি চাষ ছাড়াও বাইরে ৮ শতাংশ জমিতে লেটুস ও ব্রকলি চাষ করেছেন। বাইরের জমিতে থাকা সবজিতে পোকামাকড় দেখা গেলেও পলিনেট হাউসে বিষমুক্ত চাষ করা সবজি বেশ সতেজও রয়েছে।

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান জানান, পলিনেট হাউসে সবজি চাষ ওই এলাকার কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। এ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে প্রতিদিনই আশপাশের কৃষকরা আসছেন এবং উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। 

Link copied!