কক্সবাজারে এক এনজিও কর্মীকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি এলজি বন্দুক উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় শহরের ছয় নম্বর ফেরি ঘাট থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম আরিফুল্লাহ আরিফ। তিনি মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়ার বারঘর পাড়ার বাসিন্দা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, আরিফুল্লাহ ব্র্যাকের কর্মী। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করেন। গেল এক বছর ধরে আরিফ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বা বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছিলেন। প্রতিটি আগ্নেয়াস্ত্রের দাম ধরা হতো ১৮ হাজার টাকা। অস্ত্রগুলো তৈরি হতো মহেশখালীর গহীন পাহাড়ে।
এ বিষয়ে এক লিখিত বিবৃতিতে ব্র্যাক জানিয়েছে, কক্সবাজারে ব্র্যাকের একজন প্রজেক্ট স্টাফ গ্রেপ্তারের ঘটনা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা এই প্রজেক্ট স্টাফের চুক্তি বাতিল করেছি, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবো।
এদিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এনজিও কর্মী পরিচয় এর আগেও কয়েকবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র পাচার করেছেন আরিফ। এনজিও কর্মী পরিচয়েই ক্যাম্পে বার বার অস্ত্র নিয়ে যেতেন আরিফ। তাদের সিন্ডিকেটের ব্যাপারে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে আটক করা হবে। আরিফের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :