নোয়াখালীল সদর উপজেলায় বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ জুন) বিকেল ৪টার দিকে জেলার মাইজদী শহরের হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গুপ্তাংকের বার্লিংটন মোড় সংলগ্ন কচি মিয়ার বাসার দ্বিতীয় তলায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফজলে আজিম কচি মিয়ার স্ত্রী নূর নাহার বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ফাতেমা আজিম প্রিয়ন্তী (১৬)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নূর নাহারের স্বামী ফজলে আজিম শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন। বুধবার সকাল ৯টার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যান। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জানতে পারেন, তার বাসায় ডাকাত ঢুকেছে। তাৎক্ষণিক তিনি বাসায় এসে স্ত্রীর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে জানতে পারেন, হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মেয়েও মারা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল জানান, জেলা শহরের গুপ্তাংকের বার্লিংটন মোড় এলাকার ফজলে আজিম কচি মিয়ার বাসার দ্বিতীয় তলায় বাসার মালিকের স্ত্রী নূর নাহার বেগম ও তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা আজিম প্রিয়ন্তীকে দুর্বৃত্তরা বাসায় ডুকে কুপিয়ে হত্যা করে। মালিকের স্ত্রী নূর নাহার বেগম টনাস্থলে মারা যান। তার মেয়ে ফাতেমা আজিম প্রিয়ন্তীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন। ওই সময় স্থানীয় এলাকাবাসী একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। মা-মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে নিহতের স্বামীসহ অন্য স্বজনরা তাৎক্ষণিক পুলিশকে এ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেননি।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, মা-মেয়েকে হত্যার মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :