সোনাগাজী পৌর শহরে দুই সন্তানের জননীকে গণধর্ষনের পর হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র ও মামলার নথিপত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৪ জানুয়ারি দুপুরে সোনাগাজী পৌর শহরের ফরিদ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় কম্পিউটার দোকানে যান উপজেলার স্বরাজপুর এলাকার বাসিন্দা বিবি হাসিনা লিপি। এরপর দীর্ঘসময় বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওইদিন বিকালে দোকান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
এরপর গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে নিহতের বাবা মকবুল আহম্মদ সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় দোকান মালিক চরগনেশ এলাকার হাফেজ মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে সফিউল আজম ও তার সহযোগী আবদুল মুনাফের ছেলে রাশেদুল ইসলামকে আসামি করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, একই বছরের ৩ এপ্রিল দুইজনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছর ২০০৯ সালের ৫ জুলাই তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম আরিফুর রহমান অভিযোগ গঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন। এ মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ঘটনার সাক্ষী সোহরাব উদ্দিন কফিল ও শাহাদাত হোসেন মিলন ১৬৪ ধারায় সাক্ষ্য জবানবন্দি দেন। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফয়েজুল হক মিল্কী।
ফেনী জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আইনজীবী ফরিদ আহম্মদ হাজারী জানান, আদালত সফিউল আজমকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও দুই লাখ টাকা জরিমানা, তার সহযোগী রাশেদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন ও এক লাখ টাকা জরিমানা প্রদানের আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণা শেষে দণ্ডপ্রাপ্তদের ফেনী জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।