• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাঙামাটির বিভিন্ন সড়কে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৩, ০৯:১১ পিএম
রাঙামাটির বিভিন্ন সড়কে পাহাড় ধস, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

টানা ভারী বর্ষণে রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষুদ্র মাঝারি আকারের পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস ঘরবাড়ি ভেঙে পড়া ও সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধসে যায়। এতে সাময়িক যান চলাচল ব্যাহত হয়।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় ভারী বর্ষণে ১৯৭টি স্থানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পরিমাণে পাহাড় ধস হয়েছে। ৩৮১টি বসত ঘর তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর রয়েছে ১৩টি। এছাড়া ৭৫টি সড়ক, ১৪টি ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এছাড়া বরকল উপজেলায় নৌকা ডুবে সুমেন চাকমা (১৮) নামের একজন নিখোঁজ বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে টানা বৃষ্টির কারণে সোমবার সকালে শহরের ভেদভেদী এলাকার পশ্চিম মুসলিম পাড়া সড়ক বিভাগের গোডাউনের পাশে একটি বাড়ি ধসে পড়ে। তবে বাড়িতে লোকজন না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে সকালে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের দেপ্পোছড়ি ও সাপছড়ি এলাকায় পাহাড় ধস হয়। তবে কেউ হতাহত হয়নি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ তাৎক্ষণিক ধসে পড়া মাটি অপসারণ করেছে। বর্তমানে সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, জেলায় সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪৫.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে।

অপর দিকে জেলায় বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়ন ও জুরাছড়ি ৪টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।

জুরাছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, “উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ মাঠে কাজ করছে।”

রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, ভারী বর্ষণে রাঙামাটি-চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি সড়কে মাটি ধসে পড়েছে। তাৎক্ষণিক সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজন মাটি অপসারণ করেছে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, জেলার বিভিন্ন জায়গায় ক্ষুদ্র মাঝারি আকারে পাহাড় ধস হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি পরিমান সেভাবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তর দুর্যোগ মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।

Link copied!