পাবনার ঈশ্বরদীতে ময়না খাতুন (৫০) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ভোরে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে সোমবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় পৌর শহরের মশুরিয়াপাড়া কামারপাড়া এলাকায় এই মারপিটের ঘটনা ঘটে। নিহত ময়না খাতুন ওই এলাকার রেজাউল করিমের স্ত্রী।
ময়না খাতুনের ছেলে মমিন হোসেন বলেন, “সোমবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী রনি হোসেনের স্ত্রী শিলা খাতুনের সঙ্গে জামা কেনার টাকা নিয়ে আমার বোন নিশির বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রনি ও শিলা আমার বোনকে মারধর করেন। আমি আমার ছোট ভাই রিপন হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা আমাদেরও মারধর করেন। পরে আমরা ভয়ে এলাকার বাইরে চলে যাই। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রনি ও শিলার পক্ষ নিয়ে একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরই এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে থাকা ইমরান, আলমগীর, সুজন, আসিফ, আকাশ লোহার পাইপ ও কাঠ দিয়ে আমার মাকে মারধর করেন।”
মমিন হোসেন আরও বলেন, “খবর পেয়ে মাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করি। রাত ১২টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহী নিয়ে যাওয়ার পথে বানেশ্বর এলাকায় মা মারা যান।”
নিহতের আরেক ছেলে রিপন হোসেন বলেন, “আমার মায়ের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি। আমি আমার মায়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “তারা অভিযোগ দিয়েছেন, আমরা খোঁজ খবর নিয়ে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করব। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।