• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মালচিং পদ্ধতিতে লাউ চাষে সফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মামুন


ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৩, ০২:২৬ পিএম
মালচিং পদ্ধতিতে লাউ চাষে সফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মামুন

লাউ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক মামুন। মালচিং পদ্ধতিতে চাষের ভিডিও দেখে তিনি লাউ চাষ করছেন। দেশীয় পদ্ধতিতে কোনো প্রকার কীটনাশক ছাড়া চাষ করে মামুন ইতিমধ্যে এলাকায় একজন আদর্শ লাউ চাষি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। লাউ চাষি মামুন আখাউড়া পৌর শহরের মক্কি নগর এলাকার মো. কবির আহম্মেদের ছেলে।

সরজমিনে দেখা যায়, মাচায় ঝুলে আছে অসংখ্য ছোট বড় লাউ। প্রতিনিয়ত সকাল বিকেল চলছে লাউ ক্ষেত পরিচর্যা। বাজারে বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়ায় মামুন বেশ খুশি। এরই মধ্যে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন দেখতে ও পরামর্শ নিতে আসছেন তার কাছে।

লাউ চাষি মামুন জানান, তিনি ইউটিউব দেখে লাউ চাষ পদ্ধতি দেখতেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এ চাষে তারা সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করে। তিন বছর ধরে মালচিং পদ্ধতিতে কোনো প্রকার কীটনাশক ছাড়া দেশি জাতের লাউ চাষ করছেন।

এই উদ্যোক্তা আরও জানান, গত বছর মালচিং পদ্ধতিতে দেশি জাতের লাউ আবাদে জমি তৈরি, চারা, সার, বালাইনাশক, বীজ, রোপণ, মাচা তৈরি, আগাছা পরিষ্কার ও শ্রমিকসহ প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। স্থানীয় বাজারে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করেন তিনি। গত বছরের মাচাসহ অন্যান্য জিনিস থাকায় এবার লাউ চাষে তার মাত্র পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। লাউয়ের চারা রোপণের ৪৫ দিনের মাথায় তার গাছে ফলন আসে। এক সপ্তাহ ধরে চলছে লাউ বিক্রি কিনি। এক পিস লাউ গড়ে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০টি লাউ বিক্রি করছেন।

স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি সবজি ব্যবসায়ীরা তার ক্ষেত থেকেই লাউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি ২০ হাজার টাকার ওপর লাউ বিক্রি করেছেন। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ জায়গা থেকে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে ৮০ হাজার টাকার ওপর লাউ বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি।

আখাউড়া উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ পদ্ধতিতে লাউ চাষ করার ফলে জমিতে আগাছা কম হয়। বর্তমানে ফলন বৃদ্ধিতে লাউ চাষে কৃষকরা মালচিং পেপার ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। লাউ গাছ মাচায় ওঠার পর থেকে ফুল আসতে শুরু করে। গাছে লাউ ধরার অল্প দিনে বাজারে বিক্রি করা যায়। এ পদ্ধতিতে লাউ চাষ খুব লাভজনক। কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার নেই বললেই চলে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিতে লাউ চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। মালচিং পদ্ধতিতে লাউ উৎপাদনে সাধারণত অন্যান্য ফসলের তুলনায় পরিশ্রম কম ও ফলন ভালো হয়। এতে রাসায়নিক ও কীটনাশক সারের ব্যাবহার না থাকায় ক্ষতিকর কোনো প্রভাব নেই।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ সুশান্ত সাহা জানান লাউ চাষিকে মামুনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।

Link copied!