• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

পাবনায় জামায়াতের বিক্ষোভ, আটক ৫


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৩, ০৫:৪৬ পিএম
পাবনায় জামায়াতের বিক্ষোভ, আটক ৫

নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, গ্রেপ্তার হওয়া দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণসহ ১০ দফা দাবিতে পাবনায় জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে পাবনার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের দিকে রওনা হয়ে মাসুম বাজার পৌঁছালে পুলিশ নেতাকর্মীদের বাধা দেয়। এ সময় উভর পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ মিছিলটি বাস টার্মিনালের শহীদ মিনারে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ করা হয়।

সমাবেশে পাবনা জেলা জামায়াতের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফফার খানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির আবু তালেব মণ্ডল, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন, নায়েবে আমীর জহুরুল ইসলাম খান, পৌর আমীর আব্দুর রকিব, সদর আমির আব্দুর রব প্রমুখ।

মিছিল পূর্ব ও পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে বিশ্বাসী। সভা-সমাবেশ যেকোনো রাজনৈতিক দলের সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার। আজকে পাবনা শহরে হাজার হাজার তৌহিদী জনতার ঢল নেমেছে। অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিতে হবে। আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তি দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে দেওয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে মিছিল শেষে ফেরার পথে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ৫ জন কর্মীকে আটক করে পাবনা সদর থানা পুলিশ। আটকরা হলেন চাটমোহরের উত্তর কদমতলী উত্তর পাড়ার আলাপ উদ্দিনের ছেলে ওয়াসিম মিয়া (২৮), কুষ্টিয়া কুমারখালির চরসাদিপুরের মন্টু মণ্ডলের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২২), বলরামপুরের সামাদ মোল্লার ছেলে আসলাম মোল্লা (৪২), দিলালপুরের কাজী মাওলানা আব্দুল আজিজের ছেলে ছিবগাতুল্লা (২৭) এবং চর বাঙ্গাবাড়িয়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে রতন আলী (২৭)।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “জামায়াতের মিছিল শেষে গাড়ির ভাঙচুরের চেষ্টা করলে আমরা ৫ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।”

পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইন বলেন, “পুলিশের অনুমতি নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করি। টার্মিনাল থেকে মুজাহিদ ক্লাব পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি দেয়। তারপরও মিছিল থেকে ফেরার পথে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।”

Link copied!