• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আর বলব না খেলা হবে, এবার ফাটাফাটি হবে : শামীম ওসমান


সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৩, ০৮:৪৭ এএম
আর বলব না খেলা হবে, এবার ফাটাফাটি হবে : শামীম ওসমান
শেখ হাসিনার জন্য যা যা করার দরকার করবো

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, “আমরা আর বলব না খেলা হবে, ফাটাফাটি হবে এবার। সোনারগাঁ থেকে আমরা দেখাব ফাটাফাটি কাকে বলে।”

বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আগামী ১৩ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

শামীম ওসমান বলেন, “আমিও চাই নৌকা তিন শ আসনে পাস করুক। আওয়ামী লীগ একটা বড় দল, প্রার্থী অনেক থাকতে পারে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে যে এখন চিন্তা করবে, সে আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়ার যোগ্য না। আমি নিজে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছি, আমাকে নমিনেশন দেবেন না। সবাই যেখানে চায়, আমি সেখানে বলেছি, দেবেন না। আমি বলেছি, আমাকে অন্যভাবে কাজে লাগান। আমি মনে করি, আমি এমপি হলে কী হবে। কিন্তু শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী না হলে আমার মেয়েকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে যাবে। ওরা তারা, যারা একুশে আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছিল।”

পূজা উৎসবে আঘাত হানা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটি একাত্তরের চেয়েও বড় যুদ্ধ। আমি সারা রাত ঘুমাই না। আমি অন্য কারও মতো না। আমি খবরগুলো পাই। ওরা কোন দিক দিয়ে আগাচ্ছে, সেসব আমি জানি। আর ওরাও জানে আমি কোন দিক দিয়ে আগাচ্ছি। আই অ্যাম এ সোলজার। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আসছে পূজার মধ্যে এবং পূজার পরে মরণকামড় দেবে। দেশটাকে ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে। তবে পারবে না। কারণ শয়তান কখনো আল্লাহর রহমতের সঙ্গে পারে না।”

এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে যদি ওরা হত্যা করতে পারে, আফগানিস্তানের চেয়েও দেশের খারাপ অবস্থা হবে। পূজার পরে একটা মারাত্মক আঘাত আসবে। এই আঘাতে শামীম ওসমান নাও থাকতে পারে। উই আর রেডি টু ডাই। আমরা প্রয়োজনে জীবন দেব, তবু শেখ হাসিনার জন্য যা যা করার দরকার করব।”

শামীম ওসমান বলেন, “কারও জন্য কিছু চাওয়ার দরকার নেই। শেখ হাসিনার জন্য চান। সারা বাংলাদেশে কার কী আমলনামা সেটা তিনি জানেন। শেখ হাসিনা আমার মা। সেদিন সব রেকর্ড ভেঙে আপনারা জমায়েত হবেন এবং জনসভা করেই কেউ ভাববেন না দায়িত্ব শেষ। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে আমাদের ছেলেরা যেন থাকে। যাতে সেখানে কেউ কোনো ঘটনা ঘটাতে না পারে।”

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ রনি।

Link copied!