ঘূর্ণিঝড় মোখাকে সাগরের জেলেরা প্রথমে তেমন আমলে নেননি। তারা একে মনে করেন স্বাভাবিক ঘটনা। হয়ত কিছু সময় পরে সব স্বাভাবিক হবে। কিন্তু স্বাভাবিক না হয়ে বেলা যত গড়াতে থাকে, ততই সাগর রুদ্ররূপ ধারণ করে। সাগরের পানি হয়ে ওঠে তীব্র গরম। জেলেরা বুঝতে পারেন বিপদ আসন্ন। তখন অনেক জেলে নৌকা দ্রুত জাল টেনে উপকূলের দিকে ফিরতে শুরু করেন।
এফবি তরিকুল-৪ ট্রলারের মাঝি চান মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, “ট্রলার নিয়ে আমরা শুক্রবার (১২ মে) বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে পাথরঘাটায় ফিরেছি। ফিরে আসার আগে সাগর খুবই উত্তাল অবস্থায় দেখে এসেছি। অবস্থা বেগতিক দেখে আগেভাগেই কিনারে ফিরেছি। এ অবস্থায় সাগরে অবস্থান করা কঠিন হয়ে পড়ছিল।”
জেলেরা জানান, তারা গভীর সাগরে ছিলেন। সেখানে রেডিও ও মোবাইলের নেটওয়ার্ক কাজ করে না। তাই আবহাওয়ার খবর তারা জানতে পারেননি। তবে বড় ঝড় হলে সাগরের পানি ও ঢেউয়ের রূপ ও বাতাসের অবস্থা দেখে তারা অনুমান করতে পারেন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার যে আসন্ন সেটি।
এফবি আল্লাহর দান-২ নামে একটি ট্রলারের মাঝি কবির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “গভীর সাগরে জেলেদের কাছে মূলত ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা পৌঁছাতে বেশ বিলম্ব হয়। তবে ট্রলারের মাঝি ও জেলেরা সাগরের পানিতে হাত দিয়ে পানির তাপমাত্রা বেশি হলে অনুমান করে তীরে ফেরা শুরু করেন।”
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, “দূরবর্তী এলাকার কিছু ট্রলার সুন্দরবন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। সাগর তীব্র উত্তাল হওয়ায় এখন আর কোনো ট্রলার সাগরে নেই।”
আপনার মতামত লিখুন :