ভোলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। এতে জেলেদের চোখে-মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার আড়তগুলোতে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মাছ বিক্রি হচ্ছে। নদী ও সাগরে ইলিশের এমন প্রাপ্যতা অব্যাহত থাকলে বিগত দিনের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন জেলে ও আড়তদাররা।
জেলেরা জানান, সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূল জুড়ে বেড়েছে বৃষ্টিপাত। এতেই জালে ঝাঁকে ঝাঁকে উঠছে ইলিশ। ঘাটে ঘাটে বেড়েছে ব্যস্ততা। সরগরম হয়ে উঠছে আড়ৎ। বেড়েছে বেচাকেনা।
ভোলার চরফ্যাশনে উপজেলার সাগর উপকূলের স্লুইস ঘাট, মাদ্রাস ও সামরাজ ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখা যায়, জেলে ও মৎস্যজীবীদের ব্যস্ততা। কেউ বরফ ভাঙছেন, কেউ ঝুড়ি বা ককশিটে ইলিশ সংরক্ষণ করছেন। কেউ ব্যস্ত বেচাকেনা নিয়ে।
জামাল, মাহবুব, আলাউদ্দিন ও জাকির মাঝিসহ কয়েকজন জেলে জানান, গত ৩/৪ দিন ধরে মেঘনা ও সাগর মোহনায় বেশ ভালোই ইলিশ ধরা পড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে তাদের বিদ্যমান সংকট দূর হবে। অনেকেই এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেগুলো মিটিয়ে দিতে পারবেন।
অন্যান্য জেলেরাও জানালেন একই কথা। তারা বলেন, যে পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে, তাতে বিগত সময়ের ক্ষতি কাটিয়ে লাভবান হওয়া যাবে। আড়তদাররা মনে করছেন, সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি মাছ ধরা পড়বে।
এদিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ। তিনি বলেন, “বৃষ্টির কারণে সাগর থেকে নদীতে চলে আসছে ইলিশ। ফলে জেলেরা মাছ পাচ্ছেন। কয়েকদিনের মধ্যে আরও বেশি মাছ ধরা পড়বে। এভাবে উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত থাকলে জেলেদের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি বাজারে মাছের দামও কমবে।”