কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে বগুড়ার বিভিন্ন সড়কে হাঁটুসমান পানি উঠেছে। এতে করে দোকানপাট খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।
জেলার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় সোমবার (৭ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, টানা বৃষ্টির কারণে শহরের সাতমাথা, স্টেশন রোড, শেরপুর রোডসহ প্রায় সব সড়কেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কিছু কিছু এলাকার বাড়ি-ঘরেও পানি ঢুকেছে।
খান্দার এলাকার ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, “ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে পানি জমে আছে। দোকান খুললেই ভেতরে পানি ঢুকবে। এ কারণে সকাল থেকে দোকান বন্ধ রেখেছি। পানি নামলে দোকান খুলবো।”
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক রুকু মিয়া ও দুলু বলেন, “রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে থাকায় অটো নিয়ে বের হতে পারিনি। আজ সারাদিন কোনো আয় হয়নি। জলাবদ্ধতার কারণে ড্রেন ও সড়ক মিশে একাকার হয়ে গেছে। মোটরে পানি ঢুকলে অটো বিকল হয়ে পড়বে।”
এদিকে জরুরি প্রয়োজনে পানির মধ্যেই ঘর থেকে বের হয়েছেন অনেকে। খান্দার এলাকায় মাথায় ছাতা আর হাতে স্যান্ডেল নিয়ে যাচ্ছিলেন সাব্বির হোসেন। তিনি বলেন, “ঘরে খাবার নেই। বাজারে যাচ্ছি কেনাকাটা করার জন্য। পানির মধ্যেই যেতে হচ্ছে। কোনো উপায় নেই।”
জেলার আবহাওয়া অফিস বলছে, কয়েকদিনের টানা তাপদাহের পর সমুদ্রে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নচাপ আর মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সারা দেশেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী দুইদিন হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।